মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ১০ টাকা কেজির চালে একজনের নামের ছবিতে অন্য জনের ছবি দিয়ে উদ্যোক্তার টাকা/চাল হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতাগীসনকিপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রকল্পের আওয়াতায় গত সেপ্টেম্বর মাসে উপকারভোগিদের নাম অনলাইনে অন্তভূক্ত করন প্রক্রিয়া শেষ হয়। উক্ত ডাটাবেজ করনে বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা প্রায় ৭০-৮০ টি নামের উপকারভোগিদের সঠিক নাম না দিয়ে নিজের লোকদের মোবাইল নাম্বার বসিয়ে অপরিচিত লোকদেও ছবি বসিয়ে দেয়। নামে বেনামে ২০১৬-২০২২ ইং সন পর্যন্ত বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা বরকত হোসেন ৭০-৮০ জনের চাল আতœসাধ করে। উপকারভোগি ১৬৩৩,১৭৯১, ১৭৫০, ১৬১০, ১৬৪৩, ১৫০৫, ৪৪৯, ১৭২০, ১৬৭০, ১৫৬৮, ১৬৮০,৪১৫ সহ দুইশতাধিক উপকারভোগিদের নাম ঠিকা থাকলে ছবির মিল ও মোবাইল নাম্বার মিল পাওয়া যায়নি। অনলাইন ডাটা বেইজেন নির্দেশনা মোতাবেক উপকারভোগি আবেদনের সময় নিজে উপস্থিত থেকে ছবি তুলবে কিন্তু ছবি থেকে ছবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ ভূক্তিভোগিদের।
উপকারভোগী(১৭৮৯) হাসিনা বেগমের সাথে রবিবার বিকেলে সরাসরি কথা হয় তিনি বলেন ২০১৬ সন থেকে আমি শুনে আসছি আমার নামে খাদ্যবান্ধব কার্ড হয়েছে কিন্তু কোন চাল পাইনি । অনলাইন ডটাবেইজ করতে আমার বাড়ির পাশে এক লোক গেলে আমি তার সাথে যাই গিয়ে আমার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে সার্চ করলে আমার নাম আসে তখোন আমাকে উদ্যোক্তা অনলাইন ডাটাবেইজ করে দেয়। আজ বরিবার বিকেলে আমাকে আমার ছবি দেখে সনাক্ত করে ইউপি সদস্য মোঃ আবু হানিফ চাল দেন। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মোঃ বরকতউজ্জামান ও ডিলার মোঃইউনূচ মিয়া জনৈক ব্যক্তিদিয়ে ২০১৬ সন থেকে চাল ভোগ করে।
১৭২০ নং কার্ডধারি মমতাজ বেগম হলেও মোবাইল নং উদ্যোক্তার, কার্ডধারির ছবির সাথে কোন মিল নাই । মমতাজ বেগম বলেন আমার নাম আছে আমি জানিনা। আমি ৪-৫ দিন আজে জানলাম।
উদ্যোক্তা মোঃ বরকতউজ্জআমান বলেন আমার কাজ করার আইডি ও পাসওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও বর্তমান চেয়ারসম্যানের ছেলের কাছে ছিলো আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ কাজ করতে পারে আমি এ বিষয় ইউএনও ও খাদ্য কর্মর্তার কাছে ক্ষামা চাইছি।
০৯ নং এর ইউপি সদস্য মোঃ আবু হানিফ বলেন, ডাটাবেইজ করার পরর মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বহু গরমির দেখা যায় আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। একজন শিক্ষিত সচেতন উদ্যোক্তা ও ডিলার অসৎ ভাবে তাদের নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য এ সকল অনিয়ম করেছে।
বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পূর্বের অনিয়ম ধরা পরেছে । আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য কর্মকর্তা কে বিষয়টি জানিয়েছি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অশ^াস দিয়েছেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃআবদুস ছালাম বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে প্রকৃত উপকারভোগি চাল বিতরন করা হচ্ছে। যাদের কার্ডে ছবি,মোবাইল নাম্বার এ গরমিল আছে তাদের সনাক্ত করা হবে । অনিয়ম বা দূর্নীতি করলে তাকে ছার দেয়া হবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বেতাগিসানকিপুর ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে উপকার ভোগিদের নামে ও ছবিতে , চাল না পাওয়ার একাধিক অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।