ফরিদ আহমেদঃ গত মঙ্গলবার (২মে ২০২৩) আনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টার কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন হরিনারায়নপুর নিজ বাড়ি থেকে বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ হন আশা।
আশা কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন হরিনারায়নপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন তোফার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আশা বগুড়া তার স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। কুষ্টিয়া বাস টার্মিনাল থেকে আশার বাবা সরাসরি বগুড়ার গাড়ি না পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার কুষ্টিয়া-রাজশাহীর সোনামনি গাড়িতে নাটোরের টিকিট কেটে তুলে দেন। পৌনে বারোটায় আশার বাবা ফোন দিলে সে বলে গাড়ি জ্যামে আটকে পড়েছিল। এখন গাড়ি লালন সেতুর আগে। এরপর আরো দুইবার তার সাথে কথা হয়। বেলা দুইটার দিকে ফোন দিয়ে বলে আমি এখন নাটোর থেকে বগুড়ার গাড়িতি উঠছি। এরপর বিকেল ৪টার দিকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা তখন থেকেই দুশ্চিন্ত পরে যায়। এরপর তার স্বামী কামরুজ্জামান রবিন এর মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান আশা বাড়িতে আসেনি। এরপর আমরা বাস টার্মিনালে গিয়ে সোনামনি গাড়ির ড্রাইভারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করি। তখন গাড়ির সুপারভাইজার বলেন ওই মেয়ের (আশা) একটি ফোন কল আসে তখন মেয়েটি বারোমাইল নেমে যায়। এদিকে আশা রাত ১০টার দিকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফোন দিয়ে বলে আমি ভালো আছি চিন্তা করোনা বলে ফোন কেটে দেয়। তারপর থেকে ফোন বন্ধ।
আশার বাবা আরো জানান মেয়ের কাছে প্রায় ৫লক্ষ টাকার স্বর্ণের গহনা রয়েছে। সে বগুড়া আজিজুল হক সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত রয়েছে। তার স্বামী বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন আশার বাবা তোফাজ্জেল। সাধারণ ডায়েরি নং-৮৫, তারিখ ২ মে২০২৩ইং।
যদি কেউ মেয়েটির সন্ধান পান তবে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় অথবা আশার বড় ভাই রিপন বিশ্বাসের ০১৭১৬২৭৬৩৪৫ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আশার বাবা তোফাজ্জেল।