1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
গোদাগাড়ীর সেই মাদক ব্যবসায়ী স্কুল দপ্তরি ইসমাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে - dailynewsbangla
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারা উপজেলা আইন – শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের ৬ নেতাকে কারাগারে প্রেরণ বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী আওয়ামীলীগ নেতা হালিমকে জেল হাজতে লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ, শিক্ষক আটক বোয়ালমারীতে কয়লার কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান ৫০ হাজার টাকা জরিমানা রাজশাহীতে সরকারি প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে চলছে প্রতারণা, নেপথ্যে উইমেন চেম্বার অব কমার্স মহাদেবপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পথসভা অনুষ্ঠিত মনে পড়ে মায়ের কথা,সকাল হলেই শুরু হয় মায়েদের আত্মত্যাগ  মিরপুর  উপজেলা বিএনপি ৭ নং সদরপুর ইউনিয়ন শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন  

গোদাগাড়ীর সেই মাদক ব্যবসায়ী স্কুল দপ্তরি ইসমাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

গোদাগাড়ীর সেই মাদক ব্যবসায়ী স্কুল দপ্তরি ইসমাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

রাজশাহী ব্যুরো : দেশে মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীর কথা উঠলেই অসংখ্য মাদক সম্রাটের নাম উঠে আসে। কিন্তু চাকরি করেও মাদক ব্যবসা! বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলে সত্য! এমন ব্যবসিকের তালিকায় নাম রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর বয়ারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ইসমাইল হোসেনের। একের পর এক মাদক ও চুরি মামলা নিয়ে সদর্পে চাকরি করছেন এই ইসমাইল হোসেন। চলতি বছরের ১০ মে ইসমাইলের মামলা ও অপকর্মের তথ্য উপস্থাপন করে জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর ইসমাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে এই তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলী হাসানের উপর । এদিকে ইসামইলকে বাঁচাতে মরিয়া ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব। ইসমাইলের বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিতে ৩১ মে (বুধবার) উপজেলার চর বয়ারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে, সেখানে কথা হয় ঐ স্কুল কমিটির সভাপতি এসএম সেলিম রেজার সাথে। সেলিম রেজা বলছে, এই স্কুল অনেক পুরোনো। এই স্কুলে আমি পড়াশোনা করেছি। কোনদিন দুর্নাম হয়নি। কিন্তু বর্তমানে এই তথ্য জানতে পেরে খুব খারাপ লাগছে। তিনি বলছেন, আজ তিনদিন যাবত ইসমাইল স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে। এর আগে খবর পেয়েছি, মাঝে মাঝে ইসমাইলের পরিবর্তে তার ভাই ডিউটি পালন করে। তিনদিন যাবত ইসমাইল বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে তাহলে বিদ্যালয়ের কাজ কে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এক শিক্ষক বলেন, ইসমাইলের মনোনিত একজন মহিলা রাখা আছে, সেই কাজগুলো করছে। ঐ মহিলাকে ইসমাইল নিজে থেকে কিছু খরচাপাতি দেই। ইসমাইল কোন ছুটিতে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমরা কেউ জানিনা। এটা প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কথা জানতে চাইলে জানায়ায়, প্রধান শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। পরে বিদ্যালয় থেকে বের হতেই এক বখাটে, সাংবাদিককে চার্জ করে বসেন!!কে আপনি? আপনার বাসা কোথায়? আপনি কেন স্কুলের নাম উল্লেখ করে নিউজ করছেন? ইত্যাদি। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে সে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করতে এসেছেন। তার সাথে কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে বের হয়ে জানাযায়, বখাটে ঐ ছেলের নাম সেক্টর (৩০)। সে হরিশংকরপুর গ্রামের টকেন মেম্বারের ছেলে। এই সেক্টর ও ইসমাইল দুই বন্ধু। এলাকায় সেক্টরের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সেও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে। এরপর ৩ জুন (শনিবার) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম। ইসমাইলের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ইসমাইলের কোন ছুটি নাই এবং এখন পর্যন্ত কোন অনুপস্থিতি নাই। হাজিরা খাতা সাক্ষরিত রয়েছে। আর ইসমাইলের বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা সবাই লিখিত জবাব দিয়েছি। আপনি ফোনে না, পারলে স্কুল সময়ে সরাসরি আসেন সাক্ষাতে কথা বলবো। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সরকারি গাছ চুরির মামলা ইসমাইলের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে সত্যতা উল্লেখ করে ইসমাইলের বিরুদ্ধে। এরপর গত ১৫ এপ্রিল মাদকদ্রব্য আইনে (হিরোইন) মামলা। গত ২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় মাদক নিয়ে ধরা পড়লে ইসমাইলকে বাঁচাতে তার দায়ভার বহন করে রবিউল ইসলাম নামের আরেকজন ৫০ গ্রাম হিরোইনের মামলায় হাজত বাস করছেন। সেসময় রবিউলকে কথা দিয়েছিল তার পরিবার ও মামলার খরচ ইসমাইল দিবে। কিন্তু সে রবিউলের পরিবারে সাথে যোগাযোগ রাখেননা। এছাড়াও ইসমাইলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসির শত অভিযোগ। এতকিছুর পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এক প্রধান শিক্ষকের বদৌলতে। এই প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। যা আগামীতে তুলে ধরা হবে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাইলা তাসলিমা নাসরিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইসমাইলের বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশাকরি খুব অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাবো। এরপর তদন্তে সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে গত ৩১ মে থেকে তিনদিন অনুপস্থিতির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ