বাগমারা, রাজশাহী:
রাজশাহী বাগমারার দ্বীপপুর ইউনিয়নে এক প্রেমঘটিত ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমিকার নানার বাড়িতে রাতের আঁধারে প্রবেশ করে এক তরুণ প্রেমিক। পরবর্তীতে ৩৩৩ নাম্বারে কল দিলে উভয়কে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
জানা গেছে, লাউবাড়িয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের নাতনি, মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা রোহী (১৬) বেড়াতে এসেছিল নানার বাড়িতে। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে মিরপুর গ্রামের মোঃ শাকিল আহমেদ স্বাধীন (১৭), মেয়েটির রুমে গোপনে প্রবেশ করে। আচমকা শব্দ শুনে মেয়ের নানা মফিজ উদ্দিন সন্দেহ করে এবং কপাট খুলতে বলেন। তখন দেখা যায়, রুমে এক যুবক অবস্থান করছে।
ছেলেটি নিজের পরিচয় দিয়ে জানায়, “আমি রোহীর সঙ্গে দীর্ঘ এক বছর ধরে প্রেম করছি। পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই রোহীর কথায় আজ নানার বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না দিলে আমি রুম থেকে বের হবো না।”
এই ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরবর্তীতে রাতেই উভয় পক্ষের অভিভাবকগণ আসেন। মেয়ের পরিবার জানায়, দু’জন পরস্পরকে ভালোবাসে এবং তারা রাজি থাকলে বিয়ে করাতে তারা আপত্তি করবে না। তবে মেয়ের পরিবার গরিব হওয়ায় ছেলের পরিবার বিয়েতে অনীহা প্রকাশ করে এবং এক পর্যায়ে হুমকি-ধামকিতে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।অন্যদিকে, আইনি দিক দিয়ে দুইজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। ছেলের পক্ষ থেকে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩-এ কল করা হলে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। ছেলে মেয়েকে থানায় আনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
স্থানীয়রা এই ঘটনাকে সামাজিক অবক্ষয়ের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ বলছেন, এই বয়সে প্রেমে জড়িয়ে পড়া এবং বিয়ে চাপিয়ে দেওয়া সমাজের জন্য চরম উদ্বেগজনক।