ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক স্প্রে করে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে দুর্বৃত্তরা নগদ ২৫ হাজার টাকা ও আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকার ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ২৭ জুন শুক্রবার ঘোড়াঘাট এস.কে বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২২ জুন দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চেংগ্রাম এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেংগ্রামের একটি বাড়িতে মমতাজ বেগমের মেয়ে মাকসুদা বেগম বসবাস করে আসছে। তার স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। গত ১লা জুন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবারের কেউ না জাগায় প্রতিবেশীরা সন্দেহ করে মমতাজ বেগমকে খবর দেন। পরে মাকসুদা বেগমকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে মমতাজ বেগম মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। এরপর ২২ জুন রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা আবারো প্রাচীর টপকে ঘরে ঢুকে চেতনানাশক স্প্রে করে আলমারিতে থাকা প্রায় ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। চেতনানাশকের প্রভাবে সবাই অচেতন থাকলেও, মাকসুদা বেগম কোনোরকমে কিছুটা টের পেয়ে একজনকে আটক করার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন।পরে তার ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলেও কাউকে ধরতে পারেননি।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার পুনরায় সারাদিন চেতনানাশকের প্রভাবে অচেতন ছিল। পরবর্তীতে সুস্থ হবার পর ২৭ জুন মমতাজ বেগম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, চেংগ্রামে সম্প্রতি মাদক, জুয়া ও ক্যাসিনো আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় এরকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে যুব সমাজের বিপথগামীতাই এমন ঘটনার পেছনে অন্যতম কারণ বলে তারা মনে করেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, এরকম একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।