ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু  কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাচ্চু মোল্লা লক্ষ্মীপুরে তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আর কি দখল মুক্ত হবে? বোয়ালমারী চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ঘোড়াঘাটে হিজড়া থাকলেও ভোটার তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরি শূন্য নির্বাচন বানচালকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে — অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বরেন্দ্র অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে আমন ধানসহ শীতকালীন সব্জির ব্যাপক ক্ষতি  দৌলতপুরে সুদের টাকার বিরোধে শতাধিক মানুষ গ্রামছাড়া – পুলিশের পুনর্বাসন উদ্যোগ স্থানীয়দের বাধায় ব্যর্থ

দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম

তৃণমূল জনগোষ্ঠির সামাজিক নিরাপত্তা,দক্ষতা উন্নয়ন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রদান, জীবনমান উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেশের সমাজ সেবা অধিদপ্তর। কিন্তু, এসব সুবিধা ছড়িয়ে দিতে সিন্ডিকেট করে অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।

উপজেলার ধর্মদহ এলাকার শাহানারা,হামিদা খাতুন, রিপন ইসলাম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোর হুসাইনের পিতা হাবিবুর রহমানের মতো প্রায় সব এলাকার ভাতা প্রার্থীদের অনেকেই দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।

গৃহবধু রুবীয়া খাতুনের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামীর কার্ড হলেও তা পেতে তাদের খরচ গিয়েছে নগদ দশ হাজার টাকা,জানান রুবীয়া খাতুন। কিন্তু সরকারের মহৎ এই উদ্যোগে কোথায় শুষে নেয়া হচ্ছে অসহায়ের এসব টাকা! এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ভুক্তভোগীরা বলছেন, খোদ দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউকেউ জড়িয়ে আছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সক্রিয় থাকা চক্রের সাথে।

এক শ্রেণীর মধ্যসত্বভোগী, ভাতা প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্তদের কাছে নানা প্রলোভনে হাতিয়ে নিচ্ছেন মাথাপিছু ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, কারো কারো খরচ আবার আরও একটু বেশি। অনেকেই আবার ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয় এমন ব্যাক্তির আবেদন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন দপ্তর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন পেশায় কর্মরত পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা।

এমনকি অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেটের বাইরে পড়লে ভাতা প্রার্থীর আবেদনের ফাইলও নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার। ভাতা প্রতিস্থাপন এমনকি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্টনেও অনিয়মের পাশাপাশি চরম ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার আলী। দালাল চক্রের বিষয়ে কিংবা অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বক্তব্য তার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার গণমাধ্যম কে বলেন– এধরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভূক্তভোগী ও ভাতা প্রার্থীরা।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম

আপডেট টাইম : ০২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

তৃণমূল জনগোষ্ঠির সামাজিক নিরাপত্তা,দক্ষতা উন্নয়ন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রদান, জীবনমান উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেশের সমাজ সেবা অধিদপ্তর। কিন্তু, এসব সুবিধা ছড়িয়ে দিতে সিন্ডিকেট করে অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে।

উপজেলার ধর্মদহ এলাকার শাহানারা,হামিদা খাতুন, রিপন ইসলাম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোর হুসাইনের পিতা হাবিবুর রহমানের মতো প্রায় সব এলাকার ভাতা প্রার্থীদের অনেকেই দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।

গৃহবধু রুবীয়া খাতুনের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামীর কার্ড হলেও তা পেতে তাদের খরচ গিয়েছে নগদ দশ হাজার টাকা,জানান রুবীয়া খাতুন। কিন্তু সরকারের মহৎ এই উদ্যোগে কোথায় শুষে নেয়া হচ্ছে অসহায়ের এসব টাকা! এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ভুক্তভোগীরা বলছেন, খোদ দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউকেউ জড়িয়ে আছেন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সক্রিয় থাকা চক্রের সাথে।

এক শ্রেণীর মধ্যসত্বভোগী, ভাতা প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্তদের কাছে নানা প্রলোভনে হাতিয়ে নিচ্ছেন মাথাপিছু ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, কারো কারো খরচ আবার আরও একটু বেশি। অনেকেই আবার ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয় এমন ব্যাক্তির আবেদন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ঘটনা প্রায়ই দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন দপ্তর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিভিন্ন পেশায় কর্মরত পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা।

এমনকি অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেটের বাইরে পড়লে ভাতা প্রার্থীর আবেদনের ফাইলও নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার। ভাতা প্রতিস্থাপন এমনকি মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্টনেও অনিয়মের পাশাপাশি চরম ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার আলী। দালাল চক্রের বিষয়ে কিংবা অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বক্তব্য তার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার গণমাধ্যম কে বলেন– এধরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভূক্তভোগী ও ভাতা প্রার্থীরা।