ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরী (দায্য পদার্থ বহনকারী ব্যতিত) শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গতকাল কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংগঠনের প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম তারেক।

অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ার এই শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতি মাসের আয় ও ব্যায়ের হিসাবে গরমিল থাকায় মাসিক মিটিংয়ের জন্য উক্ত ইউনিয়নের ১৫ জন নেতাকর্মীকে ১০ জুন বেলা সাড়ে ১২ টার সময় সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক তার অফিসে ডাকেন। মাসিক মিটিংয়ে আজাদুল ইসলাম তারেক সহ ১৩ জন নেতাকর্মী হাজির হন। মিটিংয়ে তারেক সহ বেশ কয়েকজন নেতা হিসাব দেখতে চাইলে ওমর ফারুক হিসাব দেখাতে অস্বীকার করেন। সেসময় ওমর ফারুকের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে ওমর ফারুক তার টেবিলের ড্রয়ার থেকে ধারালো ছুরি বের করে তারেককে মারার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তখন ওরম ফারুককে ঠেকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ওমর ফারুক বহিরাগতদের ডেকে এনে তারেককে অফিস কক্ষে আটকে রাখে। বিষয়টি সাধারণ শ্রমিকরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে আনেন। ওরম ফারুক তার সংগঠনের প্রচার সম্পাদককে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেওয়ায় সময় হুমকি দিয়ে বলেন- ” আমার কাছে হিসাব নিকাশ চাইতে আসলে অসুবিধা আছে”। সেসময় তারেককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন ফারুক।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী তারেক প্রতিবেদককে বলেন, ওমর ফারুক বার্ষিক হিসাব দেননা এবং এজিএম করেন না। প্রতি মাসের ৫ তারিখে আয় ও ব্যায়ের হিসাব নিকাশ নিয়ে মিটিং করার কথা থাকলেও সেটিও তিনি করেন না। গত ৩ মাস যাবৎ কোন মিটিং হয়নি। এমাসের ৫ জুন মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। শ্রম অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী পর পর ৩ মাস মিটিং না করলে সংগঠনের বৈধতা থাকে না। এমনকি ওমর ফারুক আমাদের সংগঠনের নিজস্ব অফিসের জন্য ৫২ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা রেজিস্ট্রি বায়না করেছে। সেই বায়না রেজিস্ট্রিকৃত জমি এখন পর্যন্ত ফাইনাল রেজিস্টি করেননি তিনি। গত মাসে বায়না রেজিস্ট্রির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন এই টাকাটাও হুমকির মুখে।

অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক জানান, মিটিংয়ের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরবর্তীতে সভাপতির হস্তক্ষেপে সেটির সমাধানও হয়েছে। তারপরও তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।