1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
এক সময় টাইটুম্বুর যৌবনে ভরা পোরশার পূণর্ভবা নদী এখন শুধুই বালুচর - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে অপহরনের ৭দিন পর অটো চালকের লাশ উদ্ধার দৌলতপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের আগুনে গো-খামার ভস্মীভূত, ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি বগুড়ায় ৮টি ধারালো অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার  নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  রাণীনগরে হিট স্ট্রোকে কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু বোয়ালমারীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা আসামি গ্রেপ্তার মৃত্যু পথযাত্রী বাবাকে দেখতে চাওয়ায় পাষণ্ড স্বামীর হাতে লাশ হলো স্ত্রী!  জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীমের আওয়াতায় এক দিনের ওরিয়েন্টেশন  রাজশাহীতে বিদ্যুৎ কন্ট্রোলবক্সে আগুন ধরে বন্ধ হয়েছে আদালত কার্যক্রম

এক সময় টাইটুম্বুর যৌবনে ভরা পোরশার পূণর্ভবা নদী এখন শুধুই বালুচর

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

এক সময় টাইটুম্বুর যৌবনে ভরা পোরশার পূণর্ভবা নদী এখন শুধুই বালুচর

মোহাম্মদ আককাস আলী : এক সময় টাইটুম্বুর যৌবনে ভরা পোরশার পূণর্ভবা নদী এখন শুধুই বালুচরে পরিণত হয়েছে। পূণর্ভবা নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তবর্তী নিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত এই নদী। নদীতে একসময় চলাচল করতো অসংখ্য নৌকা, লঞ্চ, ষ্টিমার। ব্যবসায়ীদের ব্যবসার কাজে গানের সুরে মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল সহ বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্রগুলোতে। ওই উপজেলা গুলির বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড়বড় হাটবাজারে ব্যবসার জন্য মাঝিমাল্লারা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ব্যবসায়ীদের ধান, পাট, আলু, বেগুন, সরিষা, কালাই, গম সহ নানা ধরনের পন্য নিয়ে ছুটে চলতেন। শুধু ঔসব পন্যই নয়, হাটবাজার গুলোতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় নদীটি ছিল পূর্ন যৌবনা। নদীকে সহজ পথ ভেবে কম খরচে যাতায়াতের জন্য অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিলেন। আর অগণিত হাটবাজারই নয় এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক ব্যবসায়িক জনপদ। এছাড়াও নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ধান সহ বিভিন্ন সবুজ ফসল ফলাতেন। এই পানিতে নানা ফসলে ভরে উঠত ফসলের মাঠ। কিন্তু ফসল থাকলেও সেই পানি এখন আর নেই। শ্যালো মেশিনের পানিতে চাষাবাদ করতে হচ্ছে কৃষকদের। অপরদিকে, জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছেরও অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূণর্ভবা। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। জীবিকা নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াত মাছ ধরার জন্য। সেই মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। পূনর্ভবার সাথে এখন জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। সে সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ। সময় গড়িয়ে চলার সাথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূণর্ভবা এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। দুই পাশের পাহাড় গুলো হয়েছে কৃষি জমি। আর নদী গর্ভে জেগে উঠা উঁচু চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, বল সহ বিভিন্ন খেলা। থমকে গেছে নদী আর নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা জাগানো কর্মকান্ড। নদী কেন্দ্রিক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। খরা মৌসুমে সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত বালুচরে পরিণত হতো না। খনন না করার ফলে নদীটি ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ের উত্তাল পূণর্ভবা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ