রাজশাহী ব্যুরো: তথ্য গোপন করে সাংবাদিকদের উস্কে দেওয়া, মিথ্যাচার করা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নগরীর কয়েরদাঁড়া এলাকার জুলমত, আলমগিরসহ অসংখ্য ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (৩ মে) বিকালে নগরীর কয়েরদাঁড়া মোড়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী আলমগির হোসেন ও অন্যান্য ওয়ারিসগণ। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলমগির হোসেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৪ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবে কয়েরদাঁড়া এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে শফিকুল ইসলাম একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনটির তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন যে, শফিকুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মত। শফিকুল প্রকৃত সত্য প্রকাশ না করে কঠিন মিথ্যাচার করেছেন । প্রকৃত বিবরণ এই যে, সপুরা মৌজা আর.এস. খতিয়ান নং- ৩১০, আর.এস দাগ নং- ২৫, জমির পরিমাণ- .৩৭ শতক জমিটির প্রকৃত মালিক বা ওয়ারিস (বিনিময় দলিল মূলে প্রাপ্ত) মোট ১১ জন। ১৯৬৫ সালে আল্লা রেখা নামিয় বিক্রয় কবলা দলিলে ৪ জন বিক্রয় করেছে। আমাদের অংশের জমি আমরা বিক্রয় করি নাই। তার চাচা মাত্র ৪ জনের নিকট হইতে ক্রয় করে ১৬ আনা দাবী করছে। শফিকুল প্রকৃতপক্ষে একজন প্রতারক ও ভূমিদস্যু। তার নিজ বাড়ী সংলগ্ন একটি ঘরে চেম্বার খুলে নিজেকে দলিল লেখক হিসাবে প্রচার করে। বেশ কিছু দিন পূর্বে জালিয়াতির দায়ে দলিল লেখক সমিতি হইতে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে এই প্রতারক শফিকুলকে। সে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এই শফিকুল এলাকায় ভেজাল জমির খবর পেলে সেই জমি বিক্রয়ের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। পরে জমির মালিককে হয়রানীতে ফেলে। এরকম অসংখ্য প্রমান রয়েছে। শফিকুলের সাথে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ থাকার কারণে এলাকার অন্যকে আমাদের শত্রু বানানোর চেষ্টা করছে। আমাদের জমি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আমাদের উপর সে অভিযোগ করেছে, আমরা নাকি তার ক্ষতি সাধন করতে পারি। কিন্তু এলাকায় শফিকুলের সাথে বিভিন্ন লোকের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাপক শত্রুতা রয়েছে। যদি তৃতীয় পক্ষ ক্ষতি সাধন করে সেটার দায় ভার আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করবে। এই ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও এলাকার নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে শফিকুলের মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।