নওগাঁয় বেশ সাড়া ফেলেছে কালো তরমুজ
মোহাম্মদ আককাস আলী :
তরমুজ মানেই গ্রীষ্মকাল, রোদ-পুড়া দুপুর, আর ঠান্ডা একফালি মিষ্টি ফলের স্বাদ। তবে এবার নওগাঁয় গ্রীষ্মের সেই তরমুজ দেখা গেল বর্ষাতেই! জেলার রাণীনগর ও সদর উপজেলার কৃষকরা এবার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ‘মার্সেলো’ জাতের কালো তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
জেলা কৃষি বিভাগের ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী’ প্রকল্পের আওতায় রাণীনগরের কাশিমপুর ও সদরের বর্ষাইল ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় এক একর জমিতে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। মাচা পদ্ধতিতে ঝুলছে কালো রঙের লম্বাটে আকৃতির তরমুজ, যা দেখতে যেমন নজরকাড়া, খেতেও সুস্বাদু। প্রতিদিনই আশপাশের এলাকার উৎসাহী কৃষকরা এই ক্ষেত দেখতে আসছেন—যা নতুন উদ্যম তৈরি করছে কৃষকদের মাঝে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, “মার্সেলো জাতটি ভাইরাস সহনশীল এবং মাত্র ৬০–৬৫ দিনের মধ্যেই ফসল তোলা যায়। বর্ষাকালে প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন হয় ৩–৫ কেজি। তবে শীতকালে মাটিতে চাষ করলে ফলন আরও বাড়ে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ফলন ও গুণগত মান—দুটোই উন্নত হয়।”
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. মোস্তাকিমা খাতুন চৈতি বলেন, “কৃষি বিভাগ এখন গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে এসে আধুনিক, লাভজনক ও বিষমুক্ত কৃষি চর্চায় কৃষকদের উৎসাহিত করছে। মার্সেলো জাতের তরমুজ তারই একটি সফল উদাহরণ। ভবিষ্যতেও এমন উদ্ভাবনী ও লাভজনক ফসল চাষে কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”