নওগাঁয় মাছের বাজার অস্থির
মোহাম্মদ আককাস আলী :
বাজারে নানা কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। উচ্চমূল্যের বাজারে সাধারণ মানুষের পুষ্টির অন্যতম মাধ্যম হলো ডিম, মাছ, মাংস। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ থেকে মাছের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।
ফলে পরিবারের পুষ্টির যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাঁতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চাপিলা মাছ প্রতি কেজি ৬০০,গুচি মাছ প্রতি কেজি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মৎস চাষিরা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজারে মাছের দাম বাড়তি। খাবারের দাম কমে গেলেই মাছের দাম কমে যাবে।
বাজার করতে আসা ষাটোর্ধ্ব ক্রেতা রমজান আলী জানান, প্রতিদিন যেভাবে মাছের দাম দ্বিগুন হারে বাড়ছে। মধ্যবিত্তের ক্রয়সীমার মধ্যেই থাকছে না। মাছের দাম শুনে মনে হয় মাছে ভাতে বাঙালির যুগের সমাপ্তি ঘটেছে।