সোহেল হোসেন লক্ষীপুর প্রতিনিধি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চৌপল্লী এলাকায় মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহত ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের পরিবারের সাতজনের মৃত্যুর পর তাদের খোঁজখবর নিতে বৃহস্পতিবার বাড়িতে যান উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামশেদ আলম রানা নিহতদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
ইউএনও বলেন, জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে রয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। এতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম চৌপল্লী এলাকার একই পরিবারের তিন শিশুসহ সাতজন নিহত হন।
এদিকে, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মাইক্রোবাসের চালক রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখনো নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত চালক রাসেলকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।