গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক বাড়ী দখলের চেষ্টা
রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুর এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর )ভুক্তভোগী গোদাগাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারির নাম রাফিকুল ইসলাম। উপজেলার পালপুর এলাকার জামরুল ইসলামের ছেলে।
জিডি সূত্রে জানা যায়, রাফিকুল ইসলাম তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত পালপুর মৌজার জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একই এলাকার মো. শরিফুল ইসলাম (৪২), তার দুই ছেলে বাবু (২০) ও নাহিদ (১৮), স্ত্রী রুবিনা এবং আরও কয়েকজন ওই জমিতে নিজেদের বলে দাবি করে বিরোধ শুরু করেন। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৬ ও ৭ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে বিবাদীরা রাফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। পরে বাড়ির সামনে রাখা ইট পুকুরে ফেলে দেয় এবং গৃহের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরিফুল ইসলামের পরিবার ও কিছু লোকজন নিয়ে হট্টোগোল করছিলেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট, খোয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা দেখা যায়। রাফিকুল ইসলাম বলেন, গতরাতে বাড়ির সামনে রাখা খোয়া ফেলে দিয়েছে রফিকুল গং। সকালে এসে দেখি গেট, টয়লেট, প্রাচীর, পানির পাইপলাইন ভেঙে দিয়েছে। কলাগাছ ও বড়ইগাছ কেটে ফেলেছে। কথা বলতে গেলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার চরম আতঙ্কে আছি।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিরোধের একটি মীমাংসা হয়েছিল। তবে সেই রায় উপেক্ষা করে শরিফুল ইসলাম পুনরায় জমি দখল ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এব্যাপারে জমির অপর অংশীদার মাইনুল ইসলাম বলেন,শরিফুল ইসলাম আমার আত্মীয় হয়। আমি তাদেরকে জমি দখল ও বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর করার আদেশ দেইনি। শরিফুল যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে কিসের জন্য করেছেন কি কারনে করেছেন
তা আমার জানা নাই। জমির উপরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কোর্টের আদেশ অনুযায়ী যা হয়, তা আমি মেনে নিব।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বলেন, জমিটি আমার খালুর। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলা করেছি। কাগজপত্র কোর্ট থেকে পেলে সবাইকে দেখাতে পারব।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। জমিজমার ব্যাপার নিয়ে আদালতের আদেশ সবাইকে মানতে হবে। সেখানে যদি কোন পক্ষ হট্টোগোলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।