ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো  বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল ৭ দফা দাবি আদায়ে এক ঘণ্টার কর্ম বিরতি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহী সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু ভেড়ামারায় নারীদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু  ভেড়ামারায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা বোয়ালমারীতে রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগে এসও কে শোকজ  লক্ষীপুরে হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটিরপ রিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে মনোনয়ন এখন আমাদের হাতের মুঠোয় : আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন বাবুল সরকারের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নিলেন শরিফ উদ্দিন জুয়েল

বরেন্দ্র অঞ্চলে বাজারগুলোতে নকল ও ভেজাল কীটনাশক সয়লাব প্রতারণার ফাঁদে কৃষক 

বরেন্দ্র অঞ্চলে বাজারগুলোতে নকল ও ভেজাল কীটনাশক সয়লাব প্রতারণার ফাঁদে কৃষক 

মোহাম্মদ আককাস আলী :
বরেন্দ্র অঞ্চলে চলছে আমনের ভরা মৌসুম। ক্ষেতের ফসলে রোগ-বালাই দমনে নানা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কীটনাশক। আর এসব কীটনাশক ৯০ ভাগ গ্রামের কৃষক বাকিতে কেনে থাকেন। যার কারণে দোকানীরা তাদের মন মত কৃষকদের অনুমোদনহীন বা ভেজাল কীটনাশক দিয়ে থাকেন। কৃষকদের ফসলের মোট খরচের বেশি অর্ধেকটাই যাই কীটনাশক প্রয়োগে। বর্তমানে বাজারে বেশির ভাগ কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন হচ্ছে না বলে  কৃষকদের অভিযোগ।
কীটনাশক উৎপাদনকারী বিভিন্ন নামীদামি  কোম্পানী নকল ব্র্যান্ডের ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এতে শুধু যে কৃষক ঠকছে ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল রাজস্ব থেকে। মূলত বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম ও মোড়ক দেখে আসল না নকল চেনতে না পারাই কীটনাশকের কেনে থাকেন কৃষকেরা। যার ফলে এ’অঞ্চলের বাজার এখন ভেজাল কীটনাশকের ব্যবস্যা রমরমা। আর এসব ভেজাল কীটনাশকের একাধিক কারখানা ও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে ও নওগাঁর জেলার সাবাইহাটে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে সব চেয়ে বেশি নকল ও ভেজাল কীটনাশক সিনজেন্টা এমিস্টর টপ। এ কীটনাশক ধানের পচন রোগ সারাতে বেশ কার্যকারী। তাই কৃষকদের চাহিদা ও বেশি। আর এ সুুযোগে প্রায় কীটনাশক ডিলার সিনজেন্টা কোম্পানীর মোড়কে ভেজাল এমিস্টরটপ  বিক্রি করতে শুরু করেছেন। সরকারের কাছে কৃষকদের দাবি, বিশেষ করে ভেজাল ও নকল কীটনাশকের বিষয়ে যেন নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের কীটনাশকের বাজার মনিটরিং করা হয়।
 তবে মাঠ পর্যায়ের একাধিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বীকার করছেন, কোম্পানীর কর্তৃতপত্র ছাড়াই যততত্র কীটনাশক বিক্রি করছেন অনেক অসাধু ডিলার। আর বেশি ভাগ কৃষক বাকিতে কীটনাশক ক্রয় করে। এতে দোকানীরা তাদের ইচ্ছা মত অনুমোদনহীন কোম্পানীর কীটনাশক বা ভেজাল কীটনাশক মেমু ছাড়া কৃষকদের দেন।
এছাড়াও কীটনাশক বোতলের নামীদামি ব্যান্ডের মোড়ক দেখে চেনার উপায় থাকে না এগুলো নকল না আসল। তবে কৃষকেরা এসব কীটনাশক ব্যাবহার করে কোন কাজে আসছেনা বলে ভরি ভরি অভিযোগ রয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের হাজারা হাজার কৃষক এসব ভেজাল ও নকল কীটনাশক কেনে প্রতিনিয়ত ঠকছে।
 কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন,বাজারে ভেজাল ও নকল কীটনাশক পাওয়া কথা স্বীকার করে বলেন,আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ইতি মধ্যে কিছু দোকানের ভেজাল কীটনাশক পাওয়া জরিপনা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলবে।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো  বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল

বরেন্দ্র অঞ্চলে বাজারগুলোতে নকল ও ভেজাল কীটনাশক সয়লাব প্রতারণার ফাঁদে কৃষক 

আপডেট টাইম : ১০:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বরেন্দ্র অঞ্চলে বাজারগুলোতে নকল ও ভেজাল কীটনাশক সয়লাব প্রতারণার ফাঁদে কৃষক 

মোহাম্মদ আককাস আলী :
বরেন্দ্র অঞ্চলে চলছে আমনের ভরা মৌসুম। ক্ষেতের ফসলে রোগ-বালাই দমনে নানা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কীটনাশক। আর এসব কীটনাশক ৯০ ভাগ গ্রামের কৃষক বাকিতে কেনে থাকেন। যার কারণে দোকানীরা তাদের মন মত কৃষকদের অনুমোদনহীন বা ভেজাল কীটনাশক দিয়ে থাকেন। কৃষকদের ফসলের মোট খরচের বেশি অর্ধেকটাই যাই কীটনাশক প্রয়োগে। বর্তমানে বাজারে বেশির ভাগ কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন হচ্ছে না বলে  কৃষকদের অভিযোগ।
কীটনাশক উৎপাদনকারী বিভিন্ন নামীদামি  কোম্পানী নকল ব্র্যান্ডের ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এতে শুধু যে কৃষক ঠকছে ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল রাজস্ব থেকে। মূলত বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম ও মোড়ক দেখে আসল না নকল চেনতে না পারাই কীটনাশকের কেনে থাকেন কৃষকেরা। যার ফলে এ’অঞ্চলের বাজার এখন ভেজাল কীটনাশকের ব্যবস্যা রমরমা। আর এসব ভেজাল কীটনাশকের একাধিক কারখানা ও সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে ও নওগাঁর জেলার সাবাইহাটে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে সব চেয়ে বেশি নকল ও ভেজাল কীটনাশক সিনজেন্টা এমিস্টর টপ। এ কীটনাশক ধানের পচন রোগ সারাতে বেশ কার্যকারী। তাই কৃষকদের চাহিদা ও বেশি। আর এ সুুযোগে প্রায় কীটনাশক ডিলার সিনজেন্টা কোম্পানীর মোড়কে ভেজাল এমিস্টরটপ  বিক্রি করতে শুরু করেছেন। সরকারের কাছে কৃষকদের দাবি, বিশেষ করে ভেজাল ও নকল কীটনাশকের বিষয়ে যেন নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের কীটনাশকের বাজার মনিটরিং করা হয়।
 তবে মাঠ পর্যায়ের একাধিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বীকার করছেন, কোম্পানীর কর্তৃতপত্র ছাড়াই যততত্র কীটনাশক বিক্রি করছেন অনেক অসাধু ডিলার। আর বেশি ভাগ কৃষক বাকিতে কীটনাশক ক্রয় করে। এতে দোকানীরা তাদের ইচ্ছা মত অনুমোদনহীন কোম্পানীর কীটনাশক বা ভেজাল কীটনাশক মেমু ছাড়া কৃষকদের দেন।
এছাড়াও কীটনাশক বোতলের নামীদামি ব্যান্ডের মোড়ক দেখে চেনার উপায় থাকে না এগুলো নকল না আসল। তবে কৃষকেরা এসব কীটনাশক ব্যাবহার করে কোন কাজে আসছেনা বলে ভরি ভরি অভিযোগ রয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের হাজারা হাজার কৃষক এসব ভেজাল ও নকল কীটনাশক কেনে প্রতিনিয়ত ঠকছে।
 কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন,বাজারে ভেজাল ও নকল কীটনাশক পাওয়া কথা স্বীকার করে বলেন,আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ইতি মধ্যে কিছু দোকানের ভেজাল কীটনাশক পাওয়া জরিপনা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলবে।