ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কুষ্টিয়া  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পৃথক পৃথক  অভিযান চালিয়ে  ইয়াবা ট্যাবলেট গাজা  সহ আটক -৪ ১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো  বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল ৭ দফা দাবি আদায়ে এক ঘণ্টার কর্ম বিরতি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহী সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু ভেড়ামারায় নারীদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু  ভেড়ামারায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা বোয়ালমারীতে রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগে এসও কে শোকজ  লক্ষীপুরে হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটিরপ রিচিতি সভা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে মনোনয়ন এখন আমাদের হাতের মুঠোয় : আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন

১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো  বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল

১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল গ্রামে ১৭ টি বাড়ির জন্য ১৯ টি সাকোঁ রয়েছে। এ সকল সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় ওই সকল বাড়ির লোকজন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) টুংরাইল গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বাঁশের ও কাঠের ১৭ টি বাড়ির জন্য ১৯ টি সাকোঁ রয়েছে।

টুংরাইল গ্রামটি টুংরাইল বিলের পাশ দিয়ে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দেয়ে বয়ে গেছে টুংরাইল কদমী কুমার নদী। ওই নদীর উপরেই সাঁকো গুলো নির্মাণ করা। গ্রামের দু পাশ দিয়ে বিল রয়েছে।

কুমার নদীটি কালিনগর বাউড়ের সাথে মিশে গেছে। মাঝকান্দি- ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বনমালীপুর নামক স্থান থেকে বাইপাস সড়ক টুংরাইল কুমার নদীর পাশ দিয়ে  কদমী পাকা সড়কের সাথে মিশেছে। ওই সাকোঁ গুলো সারা বছরই ব্যবহার করা হয়। সাকোঁগুলো যার যার নিজ অর্থায়নে করা হয়। সাঁকো গুলো যুগ যুগ ধরে করা হচ্ছে।

রূপাপাত ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য টুংরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. মিরাজ মোল্যা বলেন, টুংরাইল গ্রামটি বিলের মধ্যে অবস্থিত। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদী। কুমার নদীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সড়ক। সড়কের দুই পাশেই বেল। কুমার নদীর উপাড়ে ১৭ টি বাড়ি। পরিবার রয়েছে ৪০ টি। ওই ১৭টি বাড়ির জন্য বাঁশ ও কাঠের ১৯টি সাকোঁ রয়েছে। এমনও আছে এক জায়গায় দুইটা সাকোঁ। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা থাকার কারণে এক জায়গায় দুইটা সাকোঁ নির্মাণ করা হয়েছে। এই সাকোঁ গুলো বারো মাসকালই থাকে কুমার নদীর উপরে। সাকোঁ গুলো যার যার নিজ আর্থায়নেই নির্মাণ করা হয়। যুগের পর যুগ ধরে সাকোঁ গুলো নির্মাণ করে আসছে। এখানে প্রত্যেকের বাড়ি ফাঁকা ফাঁকা। বর্ষা মৌসুমে সকলের বাড়ির চার পাশ দিয়ে পানি হয়ে যায়। সাকোঁই হচ্ছে তাদের পারাপারের একমাত্র উপায়। আবার অনেকেই নৌকা নিয়ে পারাপার করেন। সাকোঁ নির্মাণের জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। এই গ্রামে একটি মাত্র সাকোঁর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। এ বছর সেটাও দেয়া হয়নি।

রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখছি টুংরাইল গ্রামে প্রচুর সাঁকো। সাকোঁর গ্রাম নামেই পরিচিত। গ্রামটাই একটা বিলের ভিতরে। ফাঁকা ফাঁকা বাড়ি। বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকের বাড়ির চারপাশ দিয়ে পানি হয়ে যায়।

 

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পৃথক পৃথক  অভিযান চালিয়ে  ইয়াবা ট্যাবলেট গাজা  সহ আটক -৪

১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো  বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

১৭ বাড়ির ১৯ সাঁকো বোয়ালমারীর সাঁকোর গ্রাম টুংরাইল

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল গ্রামে ১৭ টি বাড়ির জন্য ১৯ টি সাকোঁ রয়েছে। এ সকল সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় ওই সকল বাড়ির লোকজন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) টুংরাইল গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বাঁশের ও কাঠের ১৭ টি বাড়ির জন্য ১৯ টি সাকোঁ রয়েছে।

টুংরাইল গ্রামটি টুংরাইল বিলের পাশ দিয়ে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দেয়ে বয়ে গেছে টুংরাইল কদমী কুমার নদী। ওই নদীর উপরেই সাঁকো গুলো নির্মাণ করা। গ্রামের দু পাশ দিয়ে বিল রয়েছে।

কুমার নদীটি কালিনগর বাউড়ের সাথে মিশে গেছে। মাঝকান্দি- ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বনমালীপুর নামক স্থান থেকে বাইপাস সড়ক টুংরাইল কুমার নদীর পাশ দিয়ে  কদমী পাকা সড়কের সাথে মিশেছে। ওই সাকোঁ গুলো সারা বছরই ব্যবহার করা হয়। সাকোঁগুলো যার যার নিজ অর্থায়নে করা হয়। সাঁকো গুলো যুগ যুগ ধরে করা হচ্ছে।

রূপাপাত ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য টুংরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. মিরাজ মোল্যা বলেন, টুংরাইল গ্রামটি বিলের মধ্যে অবস্থিত। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদী। কুমার নদীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সড়ক। সড়কের দুই পাশেই বেল। কুমার নদীর উপাড়ে ১৭ টি বাড়ি। পরিবার রয়েছে ৪০ টি। ওই ১৭টি বাড়ির জন্য বাঁশ ও কাঠের ১৯টি সাকোঁ রয়েছে। এমনও আছে এক জায়গায় দুইটা সাকোঁ। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা থাকার কারণে এক জায়গায় দুইটা সাকোঁ নির্মাণ করা হয়েছে। এই সাকোঁ গুলো বারো মাসকালই থাকে কুমার নদীর উপরে। সাকোঁ গুলো যার যার নিজ আর্থায়নেই নির্মাণ করা হয়। যুগের পর যুগ ধরে সাকোঁ গুলো নির্মাণ করে আসছে। এখানে প্রত্যেকের বাড়ি ফাঁকা ফাঁকা। বর্ষা মৌসুমে সকলের বাড়ির চার পাশ দিয়ে পানি হয়ে যায়। সাকোঁই হচ্ছে তাদের পারাপারের একমাত্র উপায়। আবার অনেকেই নৌকা নিয়ে পারাপার করেন। সাকোঁ নির্মাণের জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। এই গ্রামে একটি মাত্র সাকোঁর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। এ বছর সেটাও দেয়া হয়নি।

রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখছি টুংরাইল গ্রামে প্রচুর সাঁকো। সাকোঁর গ্রাম নামেই পরিচিত। গ্রামটাই একটা বিলের ভিতরে। ফাঁকা ফাঁকা বাড়ি। বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকের বাড়ির চারপাশ দিয়ে পানি হয়ে যায়।