1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৪ ঘণ্টা পর ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার - dailynewsbangla
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে (ইউএনও)’র মত বিনিময় সভা ভেড়ামারায় পৌরসভা নগর উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত মহাদেবপুরে বিএনপি’র সৌহার্দ ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বন্ধ হওয়া উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন আবারও চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান দৌলতপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত ৫ আগষ্ট পরবর্তী  আহত ও নিহতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচন নয়- ছাত্র সমন্বয়ক  হাসনাত আব্দুল্লাহ  দশমিনায় বীজ ও সার বিতরণ উদ্ধোধন  দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়া সীমান্তের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বিজিবি

সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৪ ঘণ্টা পর ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৪ ঘণ্টা পর ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ উদ্ধার

দৌলতপুরে(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গুলিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টুর লাশ চার ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বেলা ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি নিহত হন। এ ঘটনার পর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বিভিন্ন স্থানে। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিলেও বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করেছে।

নঈম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে চশমা প্রতীকে নির্বাচিত হন। এর পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সারওয়ার জাহানের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠে। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউপি কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা ১১টার দিকে কক্ষের পেছনের জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে দুটি গুলি করে। এ সময় তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা সমনের ফটক দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে আরও দুটি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলারে পালিয়ে যায়।

গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। গণমাধ্যমকর্মীদের বেগ পেতে হয় তথ্য সংগ্রহে। সংবাদকর্মীদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় পুলিশকে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। ফলে প্রায় ৩টা পর্যন্ত সেন্টুর লাশ ওই কক্ষের মেঝেতেই পড়ে থাকে।

পরে খবর পেয়ে র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেনাসদস্যদের সহযোগিতায় বেলা ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

বেলা ২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘিরে রেখেছে। ভেতরে পুলিশ এবং র‍্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। ভবনের চেয়ারম্যানের কক্ষের মেঝেতে তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে।

সেন্টু চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা এলাকার কয়েকটি বাড়িতে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় তারা লুটপাট করে বাড়িতে ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি এ দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেনটু একসময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর দলীয় রাজনীতি করেন না।’

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিন জানান, তিনি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বাইরে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পেছনের জানালা দিয়ে চার–পাঁচটি গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে তিনি প্রাণভয়ে পরিষদের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন চেয়ারম্যান সেন্টুর গুলিবিদ্ধ নিথর লাশ মেঝেতে পড়ে রয়েছে।

নিহত চেয়ারম্যানের জামাই হাসিবুর রহমান বিজয় বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তাঁর শ্বশুরকে এলাকার একটি গোষ্ঠী হুমকি দিয়ে আসছিল। তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে চেয়ারম্যানের পুত্রবধূ শামীমা আক্তার জানান, তাঁর (চেয়ারম্যান) কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছিল।

ঘটনাস্থলে থাকা কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসেছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় ঘাতকদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পুলিশের একাধিক টিম ইতিমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ