দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার(৭মার্চ) উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দ জাফর ০৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক ও স্থানিয় সূত্রে জানা যায় উপজেলা সৈয়দ জাফর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত বসত ঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে গাজী শহিদুল দম্পাত্তি। উক্ত সম্পত্তি অবৈধ দখল করার জন্য একই এলাকার নাছিমা বেগম বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গত শুক্রবার সকালে উপজেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু ও ছাত্রদল নেতা খালেদ হোসেন যুবরাজ এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অ¯্র প্রদর্শন করে ভেকু দিয়ে শহিদুলের বসত ঘর গুরিয়ে জমি দখল নেয়ার চেষ্ঠা চালায়। খবর পেয়ে দশমিনা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক(এসআই) জমিস সহ সঙ্গীয় ফোর্স প্রাথমিক ভাবে ঘটনা নিয়ন্ত্রন করতে না পারলের পরে নিয়ন্ত্রণ করে।
ভুক্তভোগী গাজী শহিদুল জানান আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে নাছিমা আমকে তাড়ানোর জন্য পূর্ব থেকে হামলা মামলা ও ভয়ভীতি, হুমকি দেখিয়ে আসে। গত শুক্রবার আমি বাড়িতে না থাকায় নাছিমা আমার জায়গা দখল করার জন্য দশমিনা থেকে ভাড়াটিয়া বিএনপির ২-৩ জন সহ অপরিচিত ৫০-৬০ জন সাথে ভেকুনিয়ে আমার বসত ঘর গুরিয়ে জায়গা দখল কের। আমার স্ত্রী, মা ও কন্যা সন্তান বাঁধা দিলে তাদের মারধর করে। আমি খবর পেয়ে থানায় ফোন করলে থানা থেকে এসআই জসিম কাজ বন্ধ কারার কথা বললে তার কথা অমান্য করে পরে আমি ওসি সাহেবের কাছে আসলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করেন। আমি এই দখল বাজদের বিচার দাবি করছি।
নাছিমা বেগম জানান আমার জায়গা আমি কাজ করছি কারো জায়গা দখল করিনি। বিএনপির নেতা ও ভাড়াটিয়াদেও দিয়ে ঘর গুরিয়ে দেয়া ও মারধরের বিষয় জনতে চাইলে বলেন আমার জায়গা দখল করে গাজী শহিদুল বসত ঘর নির্মার করে বসবাস করছে আমি কোন ভাড়াটিয়া বা বিএনপি নেতাদেও দিয়ে ঘর দখল করিনি।
উপজেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু ও ছাত্রদল নেতা যুবরাজ জানান আমরা কোন জায়গা দখলের সাথে জড়িত নই। এ সকল মনগড়া কথা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, বিষয়টি আমাকে গাজি শহিদুল নামের একজন জানিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার বিষয় শুনে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।