রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৭নং বাসুপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং সদস্য ও বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানী ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে এক নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ০৯ মার্চ এই অভিযোগটি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীনি সীতা রানি একই ইউনিয়নের যতিনগঞ্জ (হঠাৎপাড়া) গ্রামের বিকাশ চন্দ্রের স্ত্রী। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, ০২/০৩/ ২০২৫ ইং তারিখে বাগমারার গণমাধ্যমকর্মী মোঃ সোহেল রানা আমার বাসায় এসে আমাকে বলেন, আরেক গণমাধ্যমকর্মী মোঃ সাহাবুর রহমান এর সহিত আমার অবৈধ সম্পর্ক আছে কিনা, এমন প্রশ্নে আমি বিব্রতকর অবস্থায় ঐ সংবাদ কর্মীর কাছে ঘটনার আদ্যোপ্রান্ত জানতে চাই। উত্তরে তিনি আমাকে জানান যে,৭নং বাসুপাড়া ইউপির বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ঐ সংবাদকর্মী (সাহাবুর) ও আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মর্মে চাউর করেছেন।
তারপর এমন মানহানীকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে দেবরের স্ত্রী একসাথে অত্র বাসুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ঐ প্যানেল চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কেন এই ধরনের সম্মান নিয়ে তামাশা করছে? তাকে আবারও অনুরোধ করেন কোনো সম্মানহানি তথ্য দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার না ছড়াতে। তখন চেয়ারম্যান রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফোন নিতে ব্যর্থ হলে সে ঘাড়-ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে সীতারানিকে বের করে দেয়। এছাড়াও তিনি সকলের উপস্থিতিতে আরো ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিয়ে পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেয়। যা উপস্থিত অনেকেই দেখেছেন এবং শুনেছেন। এমতাবস্থায় সীতারানি ও তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় রয়েছে এবং সে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন।
এবিষয়ের ভুক্তভোগী সীতারানি’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার কথাগুলো আমার অভিযোগপত্রে লিখে দিয়েছি। যা লিখেছি তা সম্পুর্ন সত্য। আমার দাবি ভবিষ্যতে যেন আর কারোর দিকে কু-নজর দিতে না পারে ।
পরে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা কথা, এখানকার কিছু সাংবাদিকরা এগুলো করাচ্ছে। ঐ নারীকে তারা উসকাচ্ছে। পরে তিনি প্রতিবেদকের নিকট সমাধান চান।
বিষয়টি নিয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।