মাদককারবারিদের হামলায় বাড়িঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদককারবারিদের হামলায় বাড়িঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসি। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার মমিন মার্কেট এলাকায় ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। অবরোধের কারণে দু’পাশে শত মত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী এবং থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহামুদুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদককারবারি মতি কাজী ও ইসলাম কাজী গংদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারী অবরোধ তুলে নেন।
জানা যায়, ফরিদপুরের মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের দাউদ কাজীর ছেলে ইসলাম কাজীকে প্রায় দুই মাইল ধাওয়া করে আটক করে। পরে ইসলাম কাজীর স্বীকারোক্তিতে তার মায়ের ঘরের একটি সুকেস থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মতি কাজী আগেই পালিয়ে যায়। ইসলাম কাজী আটক হওয়ায় এলাকার মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রাত ৮টার দিকে ইসলাম কাজী ছাড়া পেয়ে বাড়িতে পৌঁছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতি কাজী ওরফে মতি মেম্বারের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল এক জামায়াত নেতার বাড়িসহ সাত বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় কমপক্ষে ৭জন আহত হয়। এর প্রতিবাদে এবং মাদককারবারিদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মমিন মার্কেট এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে সোতাশী, চালিনগর এলাকার কয়েকশত নারী পুরুষ।
অপরদিকে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক রাজা মিয়া বাদি হয়ে মতি কাজীকে আসামি করে মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। মামলা নং ২৪।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থানায় মামলা করেছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. হাশেম আলী বলেন, আমাদের নিকট তথ্য ছিল মতি কাজীর বিরুদ্ধে। আমাদের টিম অভিযান চালিয়ে মতি কাজীর ঘর থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ঘরে। ইসলাম কাজীর নিকট থেকে কিছু পাওয়া যায়নি বলে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। অভিযানে নিয়মের কোন ব্যাত্যয় ঘটেনি বা কোন প্রকার বিধি লংঘন হয়নি। তারপরও যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে আমার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।