হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ অফিস ভেঙে দেওয়া হয়। বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রশাসন অভিযানে আসছে সংবাদের ভিত্তিতে সব পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে পদ্মা নদীর হার্ডিং ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভেড়ামারা পদ্মা নদীতে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রীজ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসন এর গাড়ি দেখে দেখে পদ্মার চরে ড্রাম ট্রাক ও পেলুডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ সময় ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের যে তোরিয়া মহল আছে সেই তোরিয়া মহলে আজকে অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার সকালে একটি নিউজ শুনে হার্ডিং ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রিজের মাঝখান থেকে মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে এই সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন হার্ডিং ব্রীজ ও লালন শাহ ব্রীজ এলাকা পরিদর্শন করে বালি উত্তোলনের কোন আলামত পাইনি।আসলে এই ধরনের বালি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। য এটা যেহেতু বালু মহল না এটা তোরিয়া মহল এখানে লালপুর থেকে যেসব নৌকা বালি নিয়ে আসে শুধু এখানে আনলোড করে ব্যবসা করবে। এর আগে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত করে ৩০ টি মামলা করে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১২ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। যদি এমনই হয় বালু মহল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং এদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) আনোয়ার হোসাইন সাংবাদিকদের জানান লালনশা ব্রিজের সন্নিকটে বালি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি ঘর তৈরি করেছিল সেটা আজকে ভেঙে দিলাম। ব্রিজের পাশে কোন ঘর বা বালি উত্তোলন করতে পারবে না। পদ্মা নদী থেকে বালি তোলার ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে বালি উত্তোলন সম্পন্ন বন্ধ আছে। আর আমরা উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এবং রাতেও যদি কেউ বালি উত্তোলন করে থাকে আমাদেরকে সংবাদ দিলে অভিযান করে থাকে। অবৈধভাবে বালির উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে এদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আনোয়ার হোসাইন। অভিযানে সহযোগিতা করেন ভেড়মায়ারা থানা পুলিশ।