ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
মাদক নয়, খেলাই হোক যুব সমাজের পথ’—গাদন খেলায় বাচ্চু মোল্লা দৈনিক দিনের খবর পত্রিকার ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রাজশাহীর মোহনপুরে ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফকিরপাড়া তরুণ সংঘ চ্যাম্পিয়ন বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধানে ছত্রাক ও মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষকরা  লালপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে সহ ইমো হ্যাক প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার ঘোড়াঘাটে ফুটপাত ও ড্রেন দখল প্রশাসনিক অবহেলায় বাড়ছে ভোগান্তি ভোটের শক্তিতেই পরিবর্তন, বন্দুকের ভয় নয় — প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ১৮ লাখ টাকার  চোরাচালানী পণ্য জব্দ দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সৎভাইয়ের হাতে যুবক খুন, আহত ৩ মিরপুর মালিহাদে বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

সৈয়দপুরে তরমুজের বাজারে আগুন, পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: কৃষি বিপণন আইন অমান্য করে কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনে বাজারে কেজি দরে বিক্রি করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এতে কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা ঠকলেও লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তারা সিন্ডিকেট করে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বাড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টাকা।

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ি করছে সাধারণ ক্রেতারা কৃষিপন্য বিপনন আইন অনুযায়ী কেজি বা পিস যেভাবেই পন্য কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। ওই আইন আরও বলা হয়েছে ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না।

বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই তা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তরমুজ ক্রেতা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, গতকাল আমার ৫ বছরের ছেলে ইমরান পাশের বাড়ির এক ছেলের তরমুজ খাওয়া দেখে বায়না ধরেছে তরমুজ খাওয়ার। কিন্তু ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম চাইছে ৩৫০ টাকা।

আমাদের মত নিম্নবিত্ত মানুষ কিভাবে এত টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাবে? জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, সব জায়গায় কেজিতেই বিক্রি করে। তাই আমরাও কেজিতে বিক্রি করি। ছোট বড় মিলিয়ে একশ তরমুজ কিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। লকডাউনে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাছাড়া কুলি চার্জসহ আরো নানান খরচও আছে। ছোট তরমুজগুলো বিক্রিতে লাভ নেই।

যা লাভ করি বড় তরমুজেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীনের কাছে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তরমুজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খুব শিগগিরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদক নয়, খেলাই হোক যুব সমাজের পথ’—গাদন খেলায় বাচ্চু মোল্লা

সৈয়দপুরে তরমুজের বাজারে আগুন, পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি

আপডেট টাইম : ০৮:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: কৃষি বিপণন আইন অমান্য করে কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনে বাজারে কেজি দরে বিক্রি করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এতে কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা ঠকলেও লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তারা সিন্ডিকেট করে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বাড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টাকা।

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ি করছে সাধারণ ক্রেতারা কৃষিপন্য বিপনন আইন অনুযায়ী কেজি বা পিস যেভাবেই পন্য কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। ওই আইন আরও বলা হয়েছে ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না।

বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই তা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তরমুজ ক্রেতা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, গতকাল আমার ৫ বছরের ছেলে ইমরান পাশের বাড়ির এক ছেলের তরমুজ খাওয়া দেখে বায়না ধরেছে তরমুজ খাওয়ার। কিন্তু ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম চাইছে ৩৫০ টাকা।

আমাদের মত নিম্নবিত্ত মানুষ কিভাবে এত টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাবে? জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, সব জায়গায় কেজিতেই বিক্রি করে। তাই আমরাও কেজিতে বিক্রি করি। ছোট বড় মিলিয়ে একশ তরমুজ কিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। লকডাউনে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাছাড়া কুলি চার্জসহ আরো নানান খরচও আছে। ছোট তরমুজগুলো বিক্রিতে লাভ নেই।

যা লাভ করি বড় তরমুজেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীনের কাছে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তরমুজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খুব শিগগিরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।