ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়া দৌলতপুরের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রিয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে উচ্ছ্সিত তারা।
করোনার কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। ফলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের ছেড়ে দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কেটেছে একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। দীর্ঘদিন পর আজ থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে খুশি তারা।
পি এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মুশফিকুর জানায়, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে সশরীরে এসে প্রিয় শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করতে পেরে যেন দেড় বছর আগের সেই স্বাদ ফিরে পেয়েছে সে।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে। পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে বলে জানালেন ওই প্রতিষ্ঠান প্রধান রাকিবুল ইসলাম ।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর জন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার থেকে সারা দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম।
তবে গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বসার আসন ও শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরদার মোঃ আবু সালেক বলেন, আমি সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছি সকল শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেনী ক্লাস করছে। তবে দু‘একটি স্কুলে আসন ও শ্রেনীকক্ষ সংকটের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সংবাদকর্মীদের জানান সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক,কর্মচারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিদ্যালয়ে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে কিছু প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সংকটের কারনে সামান্য অনিয়ম হয়েছে।