1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে চলছে অশ্লীলতা- উদাসিনতায় প্রশাসন - dailynewsbangla
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে চলছে অশ্লীলতা- উদাসিনতায় প্রশাসন

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ দেশের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে  সবার উপরে নাম রয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক)। এই উন্নয়নের কারিগর হচ্ছে বর্তমান নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  যার উন্নয়নের আলোয় আলকিত পুরো নগরী। উন্নয়নের একটি অংশ রাজশাহীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বহমান পদ্মাপাড়কে ঘিরে। পদ্মাপাড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। যা সারাদেশে যুগপোযোগি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহীর পদ্মাপাড় একটি জায়গা করে নিয়েছে। এই পদ্মাপাড়কে দেশের সেরা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন রাসিকের বর্তমান  মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অথচ এই বিনোদন কেন্দ্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা অপকর্মের জন্ম দিচ্ছে ফুটপাতে অবৈধভাবে ব্যবসা করা ফুচকা চটপটির দোকানিরা। যা বর্তমানে সকলের দৃষ্টিকটু হচ্ছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
গত ১৪  মে (শরিবার)  এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে পদ্মা পাড়ের চির চেনা শিমলা পার্ক, বিজিবি নিয়ন্ত্রিত সিমান্ত অবকাশের নিচের অংশে ও পশ্চিম সাইডে। সেখানে দেখা মিলেছে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বলছে, ক্লাস হচ্ছেনা বিধায় আমরা ঘুরতে এসেছি। বাবা মা কিছু বলে কিনা জানতে চাইলে উত্তরে বলে, মা বাবা জানেনা। তবে শিক্ষার্থী ও প্রেমিক প্রেমিকাদের অশ্লিলতার অভয়ারণ্য হিসেবে জায়গা করে দিচ্ছে অবৈধভাবে রাস্তায় ব্যবসা করা ফুচকা চটপটির দোকানদাররা। তারা অবাধে কয়েক শত চেয়ার পেতে দিয়েছে ঝোপঝাড়ের মাঝে।  এমনকি বাইরে থেকে যেন কেউ দেখতে না পায়, সেজন্য ঘিরে দেওয়া হয়েছে বড় আকারের ছাতা দিয়ে। এই অশ্লীলতার জন্যও নেওয়া হয় ঘন্টা চুক্তি টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফুচকা ব্যাবসায়ী বলেন, গত রমজান মাসে যখন সকল দোকানপাট বন্ধ, তখন কয়েকজন অসৎ ফুচকা ব্যবসায়ী প্রতি ছাতার নিচে ঘন্টায় ২০০ টাকা করে নিয়েছে। সেখানে ব্যাবসা করা কয়েকজন দোকানির সাথে কথা বলা হয়েছে। শ্রীরামপুরের এক ফুচকা ব্যাবসায়ী, আফজাল বলেন, আমরা বসার জন্য টাকা নিই না। এমনি বসে ফুচকা বা চটপিট খেলে বসতে দেই। এই দোকান দেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে লীজ বা কোন লাইসেন্স করেছেন কিনা জানতে চাইলে, তারা সকলেই বলেন আমরা এখানকার স্থানীয় লোক। আমাদের  কাউকে কিছু দিতে হয়না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পুরো পদ্মাপাড় ঘিরেই প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা বানিজ্য হয়ে থাকে। যা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ সাইদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়াও এমন অশ্লীলতার বিষয়ে  রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া মুখ্যপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
শিক্ষা ও সুখি নগরী রাজশাহীতে দেশ বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। আর এই নগরীতে এমন বেহায়াপনা ও অশ্লীল দৃশ্য রাজশাহী বাসীর জন্য কঠিন লজ্জার। এগুলো বন্ধে পুলিশের হস্তক্ষেপ জরুরি। এগুলো বন্ধে সাথে স্কুল কলেজ  কর্তৃপক্ষকে  কঠোর হতে হবে  বলে মনে করছেন সচেতন সমাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ