1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
সাতক্ষীরায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড - dailynewsbangla
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
স্যালাইন পানি  নিয়ে পথচারী ও ভ্যান শ্রমিকদের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটু শরীফ নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন  গ্রেফতার   ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়  তীব্র তাপদাহে নগরীর ১০ টি পয়েন্টে স্যালাইনপানি বিতরণ করবে রাসিক দৌলতপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে  প্রতিপক্ষের উপর হামলা, আহত ৩ বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে পথচারীদের বিশুদ্ধপানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বোয়ালমারীতে ২০টি মাদক মামলার আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় স্বামী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দু’ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মেহেরুন্নেছা (৪০)।

সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর স্ত্রী। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৮ সালে আশাশুনি উপজেলার জব্বর মোল্লার মেয়ে তালাক প্রাপ্ত মেহেরুন্নেছার(২০) সঙ্গে একই উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জহির সরদারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ি জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর(৪৪) বিয়ে হয়।

বিয়ের পরও মোবাইল ফোনে মেহেরুন্নেছা তালাক দেওয়া স্বামীর সঙ্গে কথা বলতো। এ নিয়ে মেহেরুন্নছা ও ছোট বাবুর বিরোধ চলে আসছিল। জোরালো আপত্তি করায় মেহেরুন্নেছা তার স্বামী ও শ্বশুড়ি আলেয়া বেগমকে খুন করার হুমকি দেয়। ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সূযোগে ঘরের মধ্যে খাটের উপর শুয়ে থাকা স্বামী ছোট বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মেহেরুন্নেছা। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজাহারুল সরদার বাদি হয়ে মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মনোজ কুমার নন্দী ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জামিনে মুক্তি পেয়ে মেহেরুন্নেছা পালিয়ে যায়।মামলার নথি ও ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামী মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক বিকেল চারটার দিকে তাকে উপরোক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেন। আদেশ প্রদানকালে আসামী মেহেরুনন্নেছা কাঠগোড়ায় ছিলো না। আসামীপক্ষে সর্বশেষ মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড.জিএম আবু বক্কর ছিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি আড. আব্দুল লতিফ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ