মোঃবেল্লাল হোসেন: পটুয়াখালীর দশমিনায় শিক্ষক আব্দুর রহমানের ক্ষেতে সুগন্ধি চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্ত,দশমিনার পরামর্শে শিক্ষক আব্দুর রহমান গ্রামের বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন পূর্ব দশমিনায় এবার ১শ২০শতক জমিতে সুগন্ধি চিনি গুড়া ধানের আবাদ করেন।
জানা যায়,উপজেলার রনগোপালদি ইউনিয়নের ২২নং গুলিআউলিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি কাজে সফলতায় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কৃষকের উপাধি পেয়েছেন । শিক্ষক রহমান জানান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মাদ জাফর আহাম্মেদের পরামর্শে এবার এক একর বিশ শতক জমিতে সুগন্ধি চিনি গুড়া ধানের আবাদ করেন।
তিনি আরও জানান, তিনি মোট সাত একর জমিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে আমন ধানের আবাদ করেন ,চিনি গুড়া ক্ষেত ছাড়াও ভিত্তি ২৩ ধানের আবাদ করেন তাতে ফলন ভাল এবং সংসারে বছরের খোরাক (মওজুদ) রেখে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ধান বিক্রি করে থাকেন । রহমান জানান, চিনি গড়া ধানের বাম্পার ফলন হওযায বেশ কয়েকজন কৃষক বীজ ধান রাখার জন্য আগাম বলে রেখেছেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় কৃষক মো,আমিনুল,মিজানুর ও খলিল বয়াতি জানান, তারা আগামীতে তাদের জমিতে চিনি গুড়া ধানের আবাদ করবেন।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১২৩ একর জমিতে এবার সুগন্ধি চিনিগুড়া ধান আবাদ করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান,সুগন্ধি চিনি গুড়া চালের দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে ,ভাল দাম পাওয়া যায়। শিক্ষক আব্দুর রহমানের ক্ষেতে চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ কয়েকজন বীজ ধান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।