মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এক হাঁড়ি রস মেলে না। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য। একসময় এ অঞ্চলের খেজুর গাছ পোড়ানো হতো ইটভাটায়।
এর ফলে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা শুধুই কমেছে, নতুন করে খেজুর গাছের চারা রোপণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এর ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। আর রস সংগ্রহ করা গাছিরাও পরিবর্তন করেছে তাঁদের পেশা।
এখন খেজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। একসময় গ্রামীণ জনপদে মৌসুমী খেজুরের রস দিয়েই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকালে নতুন ধানের চাল দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা পায়েস তৈরিতে খেজুরের রস ও গুড়ের কোন জুড়ি নেই। এখন গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে নেমে গেছে অন্য কাজে।
বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না। উপজেলার ঈশ^রপুর গ্রামের বাবু বলেন, ‘আগের মত এলাকায় খেজুর গাছ নেই। আর খেজুর গাছ কেটে এখন পেট চলে না। বয়স হয়েছে, তাই আমি ওই পেশা ছেড়ে দিয়েছি।’ এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ বাবু অরুন চন্দ্র দেবনাথ জানান, খেজুর গাছ রোপণ ও সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।