কাজী মোস্তফা রুমি, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চন্দ্রিমা ও নুরজাহান মার্কেটের অধিকাংশ দোকান খোলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদেরও দেখা গেছে।
তবে নুরজাহান মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া ৫টি দোকান খোলা হয়নি। তাছাড়া সেন্ট্রাল এসি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নুরজাহান মার্কেটের নীচতলার ৫০-৬০টি দোকান বন্ধ রয়েছে। দোকান মালিকদের এসব দোকান গোছাতে দেখা গেছে।
নিউমার্কেট দোকান সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘গতকাল রাতে আলোচনা হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ডিএমপির কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিরি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, ঢাকা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আজ মার্কেট খোলা হয়েছে।’
সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হওয়ার বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কখনো কোনো সমস্যা হলে সেই কমিটির কাছে অভিযোগ করা যাবে। কমিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কোনো ব্যবসায়ী মার্কেটের কোনো সমস্যায় শিক্ষার্থীদের ঢেকে আনতে পারবেন না।’