কাজি মোস্তফা রুমি: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি সবসময় প্রকৃতি নির্ভর। সার্বিক ধানের অবস্থা সারা দেশে ভালো। নতুন জাতের মাধ্যেমে ভালো উৎপাদন আশা করছি। খাদ্য সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে ২ কোটি টনের মধ্যে ১৩ লক্ষ টন, এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষতি হয়নি। ধান কাটার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৪ দিনের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি না হলে ধান ঘরে তুলতে পারবো। এ নিয়ে জাতির মধ্যে একটি আতঙ্ক রয়েছে। ধান যদি ঘরে না তুলতে পারি তাহলে সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওরের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের তৎপরতায় বাঁধগুলো রক্ষা হয়েছে। নেত্রকোনায় ৮৬ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। সুনামগঞ্জে সবচেষে হাওড়ে ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সেখানে আজ পর্যন্ত ৭১ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। গড়ে প্রায় ৫০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে ৫৭৭ টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন কাজ করছে। এটি সরকারের বড় অবদান। প্রণোদনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চাষীদের মেশিন দেয়ার কারণে ঝুঁকির মধ্যে হাওরে ধান কাটতে পারছি। বোরো মৌসুমে আমাদের সর্বোচ্চ ধান প্রায় ২ কোটি টন উৎপাদন হয়।
এছাড়াও আগে আমন প্রধান ফসল থাকলেও এখন আমন কমে গিয়ে ১ লাখ ৫৮ লাখের মতো উৎপাদন হয়। সেচসহ চাষাবাদের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার ফলে আমাদের বোরো উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় হুঁশিয়ারি দেয়। তারা হরতাল করবে, অবরোধ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে। অতীতেও হরতালের নামে তারা রাস্তা কেটে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে সফল হতে পারেনি। আগামী দিনেও তারা সফল হতে পারবে না।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, ছোট মনির এমপি, হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, আহসানুল ইসলাম খান এমপি প্রমুখ।