1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে নাগরপুরে আওয়ামীলীগের বর্ণাঢ্য আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত। - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মোহনপুর বিদিরপুরে উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হলো ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে – শাহাজান আলী জাল সনদে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন

বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে নাগরপুরে আওয়ামীলীগের বর্ণাঢ্য আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত।

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার ভাষায় ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। কবিতাটি যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। এ কথা সত্য যে, প্রত্যেক সার্থক পুরুষের নেপথ্যে থাকেন একজন নারী। কথায় বলে ‘প্রত্যেক সফল পুরুষের সফলতার পেছনে একজন নারীর হাত রয়েছে’। আর এই ধারণাকে আরও একধাপ ওপরে নিয়েছে একটি গবেষণা। যেখানে দেখা গেছে শুধু নারীর হাত নয়- সফল হওয়ার পেছনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়ার দ্য কার্নেইগিমেলন ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীদের দাবির ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
সঙ্গী সহযোগী হলে মানুষ ঝুঁকি নেওয়ার সাহস পায়। আর ঝুঁকি নেওয়ার সৎ সাহসই মানুষের জীবনে বয়ে আনে সফলতা, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, মানসিক শান্তি এবং সুসম্পর্ক। যেমন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফলতার পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ওরফে রেনু। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সংগ্রামী সেই মহীয়সী নারী, যিনি নিজেকে নেপথ্যে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার অভীষ্টের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নরনারী প্রবন্ধে লিখেছেন- ‘গৃহগঠন এবং গৃহবিচ্ছেদ স্ত্রীলোকেই করিয়া থাকে। আমাদের দেশে ভালোমন্দ সমস্ত শক্তি স্ত্রীলোকের হাতে; আমাদের রমণীরা সেই শক্তি চিরকাল চালনা করিয়া আসিয়াছে। আমাদের দেশীয় গৃহিণী, লোকলৌকিকতা-আত্মীয়কুটুম্বিতা পরিপূর্ণ বৃহৎ সংসার এবং স্বামী-নামক একটি চলৎশক্তিরহিত অনাবশ্যক বোঝা পশ্চাতে টানিয়া লইয়া আসিয়াছে। সে যখনই ভালোবাসিতে আরম্ভ করে তখনই তাহার কর্তব্য আরম্ভ হয়। তখনই তাহার চিন্তা, বিবেচনা, যুক্তি, কার্য, তাহার সমস্ত চিত্তবৃত্তি সজাগ হইয়া উঠে, তাহার সমস্ত চরিত্র উদ্ভিন্ন হইয়া উঠিতে থাকে। বাইরের কোনো রাষ্ট্রবিপ্লব তাহার কার্যের ব্যাঘাত করে না, তাহার গৌরবের হ্রাস করে না, জাতীয় অধীনতার মধ্যেও তাহার তেজ রক্ষিত হয়।’
কবিগুরুর এ কথাগুলোর মতোই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারবার তুলে এনেছেন তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বা রেনু প্রসঙ্গ। মহীয়সী এই নারীর আত্মত্যাগ শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর প্রতি নয়, দেশের প্রতিও। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন- ‘আমার সহধর্মিণী একদিন জেলগেটে বসে বলল, ‘বসেই তো আছ, লেখো তোমার জীবনের কাহিনী।’
হঠাৎ মনে হলো লিখতে ভালো না পারলেও ঘটনা যতদূর মনে আছে লিখে রাখতে আপত্তি কী? সময় তো কিছু কাটবে। আমার স্ত্রী, যার ডাক নাম রেনু- আমাকে কয়েকটা খাতাও কিনে জেলগেটে জমা দিয়ে গিয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি পরীক্ষা করে খাতা কয়টা আমাকে দিয়েছে। রেনু আরও একদিন জেলগেটে বসে আমাকে অনুরোধ করেছিল। তাই আজ লিখতে শুরু করলাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরও লিখছেন, ‘আমার জীবনে আমি দেখেছি, গুলির সামনে আমি এগিয়ে গেলেও কোনোদিন আমার স্ত্রী বাধা দেয় নাই। এমনও দেখেছি যে, অনেকবার আমার জীবনের ১০-১১ বছর আমি জেল খেটেছি। জীবনে কোনোদিন মুখ কালা কিংবা আমার ওপর প্রতিবাদ করে নাই। তাহলে বোধ হয় জীবনে অনেক বাধা আমার আসত। এমন সময় আমি দেখেছি যে আমি যখন জেলে চলে গেছি, আমি একআনা পয়সাও দিয়ে যেতে পারি নাই আমার ছেলেমেয়ের কাছে। আমার সংগ্রামে তার দান যথেষ্ট রয়েছে।’
মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের মানুষ। তিনি তার সচেতন বোধ এবং নিজস্ব চিন্তাচেতনায় তার সময়কে যেভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, তা ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ভিন্নমাত্রা লাভ করে নিঃসন্দেহে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘রেনু আমার পাশে না থাকলে এবং আমার সব দুঃখকষ্ট, অভাব-অনটন, বারবার কারাবরণ, ছেলেমেয়ে নিয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন হাসিমুখে মেনে নিতে না পারলে আমি আজ বঙ্গবন্ধু হতে পারতাম না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও যুক্ত থাকতে পারতাম না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় সে আদালতে হাজিরা দিয়েছে এবং শুধু আমাকে নয়, মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। আমি জেলে থাকলে নেপথ্যে থেকে আওয়ামী লীগের হালও ধরেছে।
আজ সেই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর এই জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা পালন করেছে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বেলা ১১ ঘটিকার সময়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, তরুণ প্রজন্মের অহংকার, মেধাবী ব্যক্তিত্ব, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সাধারণ সম্পাদক, রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব, অনলবর্ষী বক্তা, একসময় রাজপথ কাঁপানো তুখোর ছাত্রনেতা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার নির্বাচিত তিন তিনবারের একমাত্র সফল চেয়ারম্যান, বর্তমান সময়ে নাগরপুরে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তার  শীর্ষে জননেতা মোঃ কুদরত আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার।  উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক বাবু লক্ষ্মীকান্ত সাহা।  উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু গোপাল চন্দ্র সাহা ও মোঃ মতিয়ার রহমান মতি।  উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর, উপস্থিত ছিলেন  যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ভিপি জহুরুল আমিন,   নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ খালিদ হোসেন খালিদ,   নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আওলাদ হোসেন লিটন ও মোঃ ছানিয়ার হোসেন সহ নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সকল নেতৃবৃন্দ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে আজকের  অনুষ্ঠানের সভাপতি, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা একজন মহীয়সী নারী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সকল কার্যক্রমে একাত্মতা ও সহযোগিতা প্রদান করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান অবিস্মরণীয়। আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
সেই সাথে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
 সকলকে আজকের এই অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার পক্ষ হতে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
 জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
 এরপর নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পরিবারের সকল সদস্য যারা ১৫ ই আগস্টে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা,  দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে আজকের এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ