1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ - dailynewsbangla
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫ দৌলতপুরে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীতে অবস্থানরত পরিবার পরিকল্পনার সাবেক উপ-পরিচালক ডাঃ নাসিম আক্তার এরিনার বিরুদ্ধে সরকারের কোটি কোটি  টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন থেকে ডাঃ নাসিম আক্তার এরিনা’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির গুনজন থাকলেও বদলি ও চাকরি হারানোর ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি। কারন ডাঃ এরিনা দপ্তরের চারটি গুরুত্বপুর্ণ চেয়ারের দ্বায়িত্বে ছিলেন। তবে গত বছরের নভেম্বরে তিনি চাকরি থেকে পিআরএল এ গেলে মুখ খুলতে শুরু করেন অনেকেই। ডাঃ এরিনা পিআরএল এ  যাওয়ার আগেই তিনি তার সকল দুর্নীতির নথি ও অভিযোগপত্র সুকৌশলে সরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি মেরীষ্টোপ সেবার নামে নন স্ক্যালপিল ভ্যাসাকটমী লাইগেশন ও ইমপ্যাক্ট লাইগেশন এর ভুয়া কাগজ বানিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছেন। তার সময়ের এমন ভুয়া কাগজের কপি মিডিয়া কর্মীর হাতে পৌছেছে।  অবশ্য তার এসকল দুর্নীতির কারনে গত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ততকালীন সময়ে দুদক তদন্ত করলেও অলৌকিক কারনে তদন্ত থেমে যায়। শুধু দুদক নয় গত ২১ সালের ২৬ সেপ্টম্বরে তদন্ত করেন   স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমান পরিচালক এডমিন খান মোঃ রেজাউল করিম।  তিনিও ঠিক অলৌকিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ডাঃ এরিনা বিরুদ্ধে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।  কিন্তু  তার এমন তদন্তের কারনে উপর মহলের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন ও  হতাশ হয়েছেন পুরো অফিস স্টাফ। সকলের প্রশ্ন ডাঃ এরিনা ২০০৭ সাল ১৪ পর্যন্ত যে পদ উল্লেখ করে (এমও ক্লিনিক) চাকরি ও বেতন নিয়েছেন,  সেই পদটি তো অবৈধ। কারন এই ডিপার্টমেন্টে সেই পদই ছিলনা। তাহলে একজন তদন্তকারি কর্মকর্তা হয়ে এই বিষয়গুলো জনলেন না? এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগ শুধুমাত্র এখনও কাগজ কলমে থেকে গেছে।
সূত্র বলছে, ডাঃ নাসিম আক্তার এরিনা  মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। আর পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ছিলেন ডাঃ আমির হোসেন। তিনি ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে হজ্বের উদ্দেশ্যে দেড় মাসের ছুটি মুঞ্জুর করেন এবং তার অনুপস্থিতে সকল দ্বায়িত্ব পালন করবেন মা ও শিশু কল্যান মেডিকেল অফিসার ডাঃ,নাসিম আক্তার এরিনা এমন নির্দেশনা দিয়ে অফিসিয়াল কাজপত্র সম্পুর্ন করেন। কিন্তু ডাঃ এরিনা সুকৌশলে ঐ চেয়ারের দ্বায়িত্ব পাকাপুক্ত করে নেন। যা পরবর্তীতে তাকে আর সরানো যায়নি। কারন তার আপন ভাই ছিল মাথার উপরে। অর্থাৎ  রাজশাহী বিভাগের পরিচালক ছিলেন তার আপন ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম। মজার ব্যাপার হলো ডাঃ এরিনা নন ক্যাডার হয়েও অর্থাৎ একজন টেকনিক্যাল কর্মকর্তা হয়ে  উপ-পরিচালক পদে যোগদান করেছিলেন। অথচ এই পদটি নন ক্যাডারের জন্য প্রযোজ্য নয়। তিনি লকই সঙ্গে রিজিওনাল কনসালটেন্ট (এফ.পি.সি.এস.কিউ.আই.টি) ও সহকারি পরিচালক (সিসি) দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। সেসময় তিনি আয় ব্যায়ের সকল কাজ নিজেই করেছেন বলে জানা যায়। তার কয়েকটি দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হলো। ১৬ সালে টুটুল হাসান নামের একজনকে এনএসভি লাইগেশনের  রেজিষ্ট্রেশন করানো হয়েছে। যার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ২১৬০২০০১৪৯।  অথচ তিনি এই পদ্ধতি গ্রহন করিনি।  এরকম আরেক জন টিটন। তার রেজিষ্টেশন নাম্বার ২১৬০২০০১৩৮। তিনিও একই কথা বলেন। এরকম ভাবে অসংখ্য ভুয়া কাগজ  বানিয়ে সরকারি টাকা তছরুপ করেছেন ডাঃ এরিনা। প্রমানপত্র সংরক্ষিত। তিনি বোয়ালিয়া থানার দ্বায়িত্বে যতদিন ছিলেন, প্রতি বছর গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার এনএসভি লাইগেশনের তালিকা নির্মান করেছেন। কিন্তু ঐ থানার টার্গেট থাকতো মাত্র দুই থেকে তিন শত। অথচ অন্যান্য থানায় সেই তালিকা হয়েছে মাত্র এক থেকে দেড় শত। এভাবে ভুয়া তালিকা বানিয়ে ১৩,৮৯,২৭,৬০০ টাকা সরকারের কোষাগার থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। অপর দিকে তার এমন কার্যকলাপ জেনেও নিজের বোনের ব্যাপারে চুপ ছিলেন পরিচালক শফিকুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, তিনি রিজিওনাল কনসালটেন্ট অফিস রেখেছিলেন নিজের বাসায়। তিনি সেই অফিসের প্রতি মাসিক ভাড়া নিতেন ২০,২০০ টাকা করে। সেখানে থানা ও জেলা অফিসের সকল প্রোগ্রাম করতেন, অর্থাৎ রিজিওনাল কনসালটেন্ট অফিসে। যার কারনে ডাঃ এরিনা অফিসের বেশিরভাগ সময় কাটাতেন বাসাতেই। প্রতিটি প্রোগ্রামের  জন্য ভেনু ভাড়া সহ প্রোগ্রাম খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা ভাউচার করে উপ পরিচালক বরাবর পাঠাতেন এবং নিজেই সেটি সাক্ষর করে বিল তুলে নিতেন, কারন নিজেই উপ-পরিচালক, নিজেই হিসাব রক্ষক। এছাড়াও তার উপর রয়েছে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ। অফিস সুপার শহিদুল ইসলামের শালীকাকে মোটা অংকের সুবিধা নিয়ে  চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই রকম আরও অনেককেই চাকরি দিয়েছে মোটা উৎকোচ নিয়ে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। শুধু তাই নয় তিনি সরকারের একজন কর্মকর্তা হয়েও নিজের বাসাতে ক্লিনিক খুলে বসেন। যার নাম আইডিয়া ক্লিনিক। এতে বোঝা যায় তিনি অফিসিয়াল কার্যক্রম বা অফিস ডিউটি ঠিকভাবে করেন নি। তবে এই বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ জায়গা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর এই স্বাস্থ্য বিভাগটি  তার (ডাঃ এরিনা) সময়ে যেন দুর্নীতির অথয় সাগরে ডুবিয়েছেন। দেশের (গর্ভবতী) স্বাস্থ্য বিভাগের সেবার একটি বড় অংশ কাজ করছে পরিবার পরিকল্পনা। তাই বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগনের দোর গোড়ায় সেবা পৌছাতে হলে অবশ্যই এই পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রমকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। যার কোন বিকল্প নাই। আর এই ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা থাকলে কোনদিনই পরিবার পরিকল্পনার সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এই বিষয়ে ডাঃ নাসিম আক্তার এরিনার সাথে মুঠোফোনে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি তার বাসায় অর্থৎ আইডিয়া ক্লিনিকে প্রতিবেদককে ডাকেন।  সেখানে সাংবাদিক উপস্থিত হলে কোন ভাবেই তিনি দেখা করেননি। এরপর এসকল দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহী জেলার বর্তমান উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আগের কথা বলতে পারবো না। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের কোন কাগজপত্র দেখিনি। মিডিয়াকর্মীর হাতে থাকা অভিযোগের কাগজ দেখালে তিনি বলেন, তাহলে হয়তো কেউ এগুলো গোপন করেছেন। ডাঃ এরিনা যাওয়ার পর বর্তমানে বোয়ালিয়া থানার দ্বায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন সহকারি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক। বোয়ালিয়া এরিয়ার বিষয়ে তথ্য জানতে হলে তার সাথে কথা বলতে পারেন। পরে আঃ রাজ্জাকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছরে এখন পর্যন্ত ১৬৭ এনএসভি লাইগেশন করিয়েছেন। রিজিওনাল কনসালটেন্ট অফিস পরিবর্তন করে জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে করা হয়েছে।
তবে তার সাথে সাক্ষাতের পর বোঝা যায়, আগের মত তেমন প্রোগ্রামের বিল নেই,  নেই প্রোগ্রামের সিডিউল। তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় , সেসময়ে তিনি কি পরিমান দুর্নীতি করেছেন। এদিকে সুত্র বলছে,  ডাঃ এরিনা খুব অল্প সময়েই পাহাড় সমান সম্পদ গড়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ