1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাজশাহীতে শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে রমরমা মাদক ব্যবসা  - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঢাকা দ‌ক্ষিন সি‌টি ক‌লোনী‌তে  প্রথম বা‌রের মত উদযাপিত হলো হ‌রিজনবাসীর বিদ‌্যা দে‌বির পুজা  বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীর ছদ্মবেশে রমরমা মাদক ব্যবসা 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
রাজশাহী ব্যুরোঃ “টাকা না দিলে তোর কোন বাপ বাঁচাবে তাই দেখবো, তুই এপার এসে দেখিস” এভাবে ক্ষমতার জানান  আর মাদকের টাকা লেনদেনের হিসাব নিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এবার মিডিয়া কর্মীর হাতে এসে পৌছেছে। সেই রেকর্ডে শোনা যাচ্ছে অলি নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী,  ইন্ডায়ান পাটিকে (ব্যবসিক) মাদক আনতে টাকা দেয়। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত মাদক নিয়ন্ত্রণকারি ও মাদক ডিলার আক্কাস সেই টাকা ও মাদক আটকিয়ে দেয়। এছাড়াও এলাকায় কার কার টাকা ও মাদক আটকিয়েছে তার হিসেব নিয়ে উদ্বিগ্ন অলি । কয়েক দিন ধরে কয়েক ডজন পত্রিকায় “রাজশাহীর মতিহার থানা এলাকার হোয়াইট কালার মাদকের গড ফাদার অলি” ও “রাজশাহীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের পোশাকে কে এই যুবক?” শিরোনামে সংবাদ ভাইরাল হওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এরপর অলি নিজেকে বাঁচানোর জন্য রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে নিজ মনোনিত ডট কম নিউজ পোর্টালকে দিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে এই অলি? অলি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাস্থ্ ধরমপুর (সুরাফানের মোড়) মহল্লার আকবর আলীর ছেলে। অলি’র পুরো নাম মেহেদী হাসান অলি। অলি’র বড় ভাই এলাকার চিহ্নত জুয়াবাজ বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অলির ভাইয়ের নাম হাসিবুল হাসান শান্ত। এই হাসিবুলও মাদক ও জুয়ার ফাঁদে নিঃস্ব। কয়েক বছর আগে নগরীর রাণীবাজারে টাইলস্ এর দোকান ছিল। কিন্তু আইপিএলের বদৌলতে হারাতে হয়েছে সেই ব্যবসা। তবে অলি ও হাসিবুলের বিষয়ে জানতে এলাকায় গেলে  অসংখ্য মানুষ তাদের বিষয়ে মুখ খুলেন। তাদের দাবী অলি নিজে মাদক ব্যবসা করে না কিন্তু মানুষকে দিয়ে করান। শুধু তাই না,  কোন পুলিশ তার বিরুদ্ধে গেলে অলি তার (পুলিশ) ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লাগেন। সেই পুলিশের বিরুদ্ধে উপর মহলে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মেয়েকে দিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলিয়ে সেই কল রেকর্ড সংরক্ষণ করে পুলিশকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করেন, অলি ঐ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে মাসহারা নিয়ে পুলিশকে দিয়ে থাকেন। তবে, তার  বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগকে অস্বিকার করেছেন অলির পরিবার। অলির বাবা মা এর সাথে কথা বললে তারা বলছেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা।  আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। অলির কথোপকথনের রেকর্ডের কথা বললে তারা বলেন, আমরা কিছু জানিনা বাবা। তবে নিউজ না করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। পরে অলির বড়ভাই হাসিবুল হাসান শান্ত’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বাইরে আছি। আমাদের বিরুদ্ধে যারা সংবাদ প্রকাশ করেছে, তারা না জেনে করেছে।আমরা সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। আমরা সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে। এলাকার বিখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আক্কাসের সাথে  অলির কথোপকথনের রেকর্ডের বিষয়ে তুলে ধরতেই তিনি বিষয়টিকে এড়িয়ে এড়িয়ে যান। তবে কোনভাবেই ছাড় দিতে রাজি নন মেহেদী হাসান অলি’র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  অলির মাদক কারবারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের কাছে এব্যাপারে অভিযোগ এসেছে। আমরা নিউজও দেখেছি। অলি নাম মাত্র আমাদের ছাত্র ছিল। সে ভর্তির পরে কোন ক্লাস করেনি। এমনকি কোন পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি। আমরা ঐ ছাত্রকে চিনতে পারছিনা। তবুও সংবাদের বর্ণনা অনুযায়ী আমাদের ছাত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্য বাতিল করেছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কিন্তু ঐ প্রফেসর তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করলেও ইতিমধ্যে অলি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পত্রেও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বিভাগ ও বর্ষ উল্লেখ করেছেন।
পরে এবিষয়ে মতাহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আপনাদের সংবাদ আমরা দেখেছি। অলির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।  তথ্য প্রমান সাপেক্ষে গ্রেফতার করা হবে।  অলি ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আক্কাসের সাথে কথোপকথনের অডিও প্রকাশের বিষয়ে বললে ইন্সপেক্টর বলেন, আমাদের কাছে এমন রেকর্ড নেই। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের সহজ হবে। তবে অপরাধি যেই হোক না কেন, আইন কখনো ছাড় দিবেনা। তাই অবশ্যই অলি যদি সত্যি মাদক ব্যবসিক হয়ে থাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ