1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
চুরি ও মাদক মামলার আসামী হয়েও বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ের দপ্তরি, ধরছেনা পুলিশ - dailynewsbangla
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
আজ থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন ঢাকা দ‌ক্ষিন সি‌টি ক‌লোনী‌তে  প্রথম বা‌রের মত উদযাপিত হলো হ‌রিজনবাসীর বিদ‌্যা দে‌বির পুজা  বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

চুরি ও মাদক মামলার আসামী হয়েও বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ের দপ্তরি, ধরছেনা পুলিশ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

চুরি ও মাদক মামলার আসামী হয়েও বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ের দপ্তরি, ধরছেনা পুলিশ

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চুরি ও হিরোইন মামলার আসামী হয়েও বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্ব পালন করছেন উপজেলার চর বয়ারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৫)। ইসমাইল হোসেন উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামের মৃত কায়ুমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও তার হয়ে লড়াই ও সুপারিশের তকমা দেখিয়ে বহাল তবিয়তে রেখেছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব। গত ১৪ এপ্রিল রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মাদক বিরোধি অভিযানে হিরোইনসহ গ্রেফতার হয় একাধিক মাদক মামলার আসামী চর ভুবনপাড়ার কেতবুর রহমার কেতাব @ কেতা। কেতা’কে জিজ্ঞেসাবাদ করলে উদ্ধারকৃত হিরোইনের মালিক হিসেবে ইসমাইলের নাম আসে। পরে ১৫ এপ্রিল ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ৮ (গ) ধারায় মামলা রজু হয় এবং ইসমাইলকে পলাতক দেখিয়ে কেতা’কে জেল হাজতে পেরন করা হয়। এরপর ইসমাইল গাঁ ঢাকা দিয়ে কয়েকদিন থাকলে বর্তমানে প্রকাশ্যে রয়েছে। ইসমাইল রীতিমত বিদ্যালয়ে দ্বায়িত্ব পালন করছে। ঘটনাটি মিডিয়ার নজরে আসলে, তথ্য অনুসন্ধানে যায় মিডিয়াকর্মী। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, এই ইসমাইলের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও তার সবচেয়ে বড় সেল্টার দাতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব। ঘটনা (১) – ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ৪০-৪৫ বছরের পুরোনো সরকারি গাছ চুরি করে কাটেন ইসমাইল ও তার সহযোগীরা। পরে ৩০ অক্টোবর উপ-সহকারি কর্মকর্তা (ভুমি) রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বার ৫৬। পরে পুলিশ প্রতিবেদনে (চার্জশিট ) জানাযায়, ঘটনাস্থল থেকে ১৪ টি গাছের গুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা (২) – ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা যাওয়ার পথে (টাঙ্গাইলে) ডিবি পুলিশের চেকপোষ্টে আটক হয় ইসমাইল ও তার পাইঠ (কামলা) রবিউল ইসলাম। কিন্তু কৌশল ও মোটা টাকার উৎকোচের মাধ্যমে সেই যাত্রায় ইসমাইল বেঁচে গেলেও রবিউলকে ৫০ গ্রাম হিরোইনের মামলায় চালান দেওয়া হয়। কিন্তু সেসময় ইসমাইল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন যে, রবিউলের পরিবারে সকল খরচ ও মামলার খরচ তিনি বহন করবেন। যা পরবর্তীতে তিনি করেননি। ঘটনা (৩) – ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিলে ইসমাইলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ৮ (গ) ধারায় পলাতক আসামী করা হয়। এছাড়াও এলাকাবাসির অভিযোগ বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও শ্রেণী কক্ষের ফ্যান লাইট বন্ধ না করেই চলে যান ইসমাইল। সারা রাত জ্বালানো থাকে ফ্যান লাইট। এলাকার মানুষের সাথেও দলীয় ক্ষমতা দেখান এই ইসমাইল হোসেন। এতকিছুর পরেও ইসমাইলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি। এলাকার লোকজন মৌখিকভাবে জানালেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ইসমাইলের পক্ষে সাপোর্ট করেছেন প্রধান শিক্ষক। ব্যাপারটি নিয়ে চর বয়ারমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। পরে ইসমাইলের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরে ইসমাইলের পক্ষে নানান অযুহাত সৃষ্টি করেন। এমনকি সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। অবশেয়ে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ইসমাইলের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হলে তাকে বাঁচাতে নানান ফন্দি এটেছেন ঐ প্রধান শিক্ষক। পরে বাধ্য হয়ে চাকরি বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ইসমাইলের পক্ষে ৬২ কর্মদিবসের ছুটির সুপারিশ করেন প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব। প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে হতবাক এলকাবাসি। কোন স্বার্থে ইসমাইলকে সাপোর্ট করছেন প্রধান শিক্ষক? এমন তো নয় যে, ইসমাইলের মাদক ব্যবসার সাথে আহসান হাবীবের কোন আতাত রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাইলা তাসলিমা নাসরিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে ইসমাইলের পক্ষে লম্বা ছুটির সুপারিশ নিয়ে এসেছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আমি ছুটি না মুঞ্জুর করেছি। তাকে সর্বোচ্চ ৭ দিনের ছুটি দেয়া যাবে বলে জানিয়েছি। কিন্তু মামলার বিষয় গুলো আমার জানা ছিলনা। আপনি বললেন আমি জেনে ব্যবস্থা নিব। আমি একটা মিটিং এ আছি বলে ফোন রেখে দেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এজাহারভুক্ত আসামী জামিন ছাড়া বাইরে থাকার কোন সুযোগ নাই। আমি এখনি আসামী ধরার জন্য বলে দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ