স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক নষ্টে মূল কারণ।
জিল্লুর রহমান কম্বোডিয়া: দাম্পত্য জীবন হলো একটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক। সুখী দাম্পত্য জীবন মানুষের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর রাখতে ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু মন্দ চরিত্রের লোকের দুষ্ট প্ররোচনায় বিভিন্ন পরিবার ও দাম্পত্য জীবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার অন্যতম একটি কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ। আরবিতে যাকে তাখবিব বলে। তাখবিব বলা হয়, স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ আর এ অনুপ্রবেশকারীদের চরিত্র হচ্ছে তারা আন্তরিক, স্নেহশীল ও পরম হিতাকাক্সক্ষীরূপে তাদের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করে থাকে।
তারা কখনো গল্পচ্ছলে স্বামীকে স্ত্রীর বিরোধী করে তোলে। কখনো পাশের বাড়ির ভাবি বা অন্য কেউ বিকেলের গল্পের আসরে অনর্থক নানা রকম বাক্যালাপ করে স্ত্রীর মনকে স্বামীর প্রতি তিক্ততায় ভরিয়ে তোলে।
কখনো স্বয়ং মেয়ের মা-বাবা কিংবা বোন-বান্ধবী ও কাছের আত্মীয়স্বজন কী দিয়েছে, কী দেয়নি এসব খোঁচা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি করে। আবার কখনো স্বামীর পক্ষের আত্মীয়স্বজন স্ত্রীর ছোটখাটো নানা দোষ স্বামীর সামনে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টা করে আবার বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ, ও ডিজিটাল সময়ে সবারই হাতে একটি স্মার্ট ফোন আছে, সেখানে ব্যবহার হয় অনলাইন ইন্টারনেটের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টেলিগ্রাম সহ আরো অনেক কিছু ইত্যাদি।
আর এটাই হচ্ছে মানুষের পরিচয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম। আর এখান থেকে শুরু হয় একে অপরের পরিচয়, তাদের মধ্যে করে বন্ধুত্ব তারপর ভাই বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড তারপর এভাবে চতুর থেকে বেশ কিছুদিন এভাবে জড়িয়ে পড়ে দুজন দুজনের প্রেমিক-প্রেমিকা, আর এভাবে শুরু হয় স্বামী স্ত্রী ও পরিবারের মধ্যে অশান্তি এক পর্যায়ে এসে নষ্ট হয়ে যায় তাদের পরিবার বা সংসার আর এটাই হচ্ছে বাস্তবতার জীবন।
এ জাতীয় সমস্যা শুধু এক-দুটি পরিবারে নয়; বরং সমাজের প্রায় পরিবারে প্রতিনিয়ত ঘটছে এসব ঘটনা।