রথ যাত্রায় নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
(বগুড়া) প্রতিনিধি :বগুড়ায় সারাদেশে ন্যায় গত রবিবার (৭ জুলাই) ২০২৪ ইং তারিখে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠান। কিন্তু উৎসব অনুষ্ঠানে হঠাৎ করে নেমে আছে আনন্দ উৎসবে দুঃখের ছায়া। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেউজগাড়ী থেকে রথ নিয়ে পুলিশ লাইন শিব মন্দিরে যাত্রার সময় হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলায় চারজন নিহত হয়। এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে করে আরো অন্তত ৫০ জন আহত হন। হতাহতদের ঘটনায় শোক এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি প্রদান করেছেন বগুড়া জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম মহোদয়। বগুড়ার ধুনটেবগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, সাগর কুমার রায়, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তপন চক্রবর্তী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফী হিরো, সদস্য আবু সেলিম, আব্দুল বাছেত, অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম দুলু। নেতৃবৃন্দ নিহতদের আত্মার সদ্গতি কামনা ও আহতদের সকলের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া উক্ত ঘটনার জন্য বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহবায়ক করে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, নেসকো, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা: আব্দুল ওয়াদুদ জানান দুর্ঘটনা আহতদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা ২ জনকে ঢাকায় পাঠোনো হয়ছে। শজিমেক হাসপাতালে এখন ও ৩৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন । ৩জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতলে ৫ জন ভর্তি ছিল। তার মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকিরা অন্যত্র চিকিৎসা নিতে চলে গেছে। এ নিয়ে মোট আহত রোগীর সংখ্যা ৪২ জন। গত রোববার বিকাল ৫ টায় বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীর ইসকন মন্দির থেকে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উদ্বোধন করেন রাগেবুল আহসান রিপু এমপি, জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। ইসকন মন্দির থেকে রথ টেনে নিয়ে কলেজ রোডে ওঠার পর পরই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বগুড়া নেসকো -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মোন্নাফ জানান সেখানে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিল। নেসকো বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের উচ্চতা ১২ মিটার। এর উপরে কোন ধাতব পদার্থের সাখে সংস্পর্স লাগলে দুর্ঘটনা ঘটবে। তিনি জানান রথের উচ্চতা ১২ মিটারের। আর রথের উপরিভাগে লোহার কোন দন্ড ছিল। এই ধাতব পদার্থে সংস্পর্শে এসে গোটা রথ বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এই সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।