বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আব্দুল্লাহ ফকির (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার জয়দেবপুর-শিরগ্রাম সড়কের জয়দেবপুর ঈদগাহ এলাকায় মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ আব্দুল্লাহ মারাত্মক আহত হয়। নিহত আব্দুল্লাহ ফকির বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলাম ফকিরের ছেলে। তিনি আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মৃত আমিনুল ইসলাম ফকির প্রায় ৮ বছর আগে স্ত্রী, এক ছেলে আব্দুল্লাহ ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। তারপর থেকে মা ও দুই বোনকে নিয়ে ছোট আব্দুল্লাহর সংসার মোটামুটি ভালোই চলছিল। শনিবার সকালে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ফকির মোটরসাইকেলযোগে বোয়ালমারী উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় যায়। সেখান থেকে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে আলফাডাঙ্গার জয়দেবপুর-শিরগ্রাম সড়কের জয়দেবপুর ঈদগাহ’র সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অজ্ঞাত মাইক্রোবাসের সাথে সংঘর্ষে বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে পুকুরিয়া নামক এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তবে তিনি উশৃঙ্খলভাবে মোটরসাইকেল চালাতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মৃত আব্দুল্লাহর প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আসলাম মোল্যা জানান, তাদের পরিবারের কোন অভিযোগ নাই। আজ শনিবার বাদ আসর ধোপাপাড়া আশরাফুল উলুম গোরস্থান মাদ্রাসায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. সিরাজুল ইসলামে জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ জালাল আলম বলেন, এ দূর্ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কেউ জানাইনি বা কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।