বোয়ালমারীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, চলছে আপসের চেষ্টা
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহমান (৩২) স্থানীয় লংকারচর চরছাতিয়ানী দারুস সুন্নাহ মহিলা মাদ্রাসা-এর শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল তার পিতা ওসমান মোল্যা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ওসমান মোল্যা নিজ বাড়ির জায়গায় উক্ত মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৫০ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত। মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তিনি ও তার ছেলে আব্দুর রহমান।
অভিযোগ রয়েছে, আব্দুর রহমান একই ইউনিয়নের এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত রবিবার রাতে ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় প্রতিবেশীরা ঘটনাটি টের পেয়ে যান। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরপর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মাতুব্বররা ঘটনাটি সামাজিকভাবে “মীমাংসা” করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ঘটনার আপসের জন্য বড় অঙ্কের টাকা-পয়সার লেনদেনের কথাও শোনা যাচ্ছে।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মাদ্রাসাটিতে তালা ঝুলছে এবং নামফলক অপসারণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহমান পলাতক এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রিন্সিপাল ওসমান মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি আমি ঠিক জানি না, আমার জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলুন।” তবে জামাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এটা এখন মীমাংসার মধ্যে আছে, নিউজ না করাই ভালো।”
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার জানায়, ঘটনাটির পর মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে মাগুরা হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে বোয়ালমারী এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি, খোঁজখবর নিচ্ছি।”
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক 








