নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি: মণিরামপুরে মৎস্যঘের থেকে ভোলা নাথ (৬৭) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি রাজবংশি পাড়া সংলগ্ন মাঠের মৎস্যঘের থেকে নিহতের ছেলে পরিমল নাথের নেতৃত্বে স্থানীয়রা কোমরে ও পায়ে দড়িবাঁধা অবস্থায় ভোলা নাথের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ধারনা করা হচ্ছে ভোলা নাথকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বারোধ করে হত্যার পর দড়ি বেঁধে মরদেহ ঘেরের পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের ছেলে পরিমল নাথ ও ভাইপো দেবু বিশ্বাসকে পুলিশের হেফাজতে নিয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন ও ওসি (তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।অবশ্য নিহতের ছেলে পরিমল নাথকে থানায় আনার আগে জানান, তার বাবা প্রতিদিনের ন্যয় দেখভালের জন্য সোমবার ভোরবেলা বাড়িরপাশে নিজেদের মৎস্যঘেরে যান।
কিন্তু একদিন পার হলেও তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি। এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয়রা মৎস্যঘের তল্লাশী চালিয়ে পানির নিচে ডুবে থাকা অবস্থায় ভোলা নাথের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় দেখাযায় ভোলানাথের কোমরে ও পায়ে দড়ি বাঁধা ছিল।অবশ্য অভিযোগ রয়েছে ঘের তল্লাশির সময় নিহতের ছেলে পরিমল এলাকাবাসীকে বাঁধা দেন।
পরিমল নাথের দাবি, তার বাবা এলাকায় অনেক দেনা হওয়ায় মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে পরিমলের এ সন্দেহ নাকচ করে এলাকাবাসী জানান, কোন ব্যক্তি কোমরে এবং পায়ে দড়ি বেঁধে এ ভাবে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাদের সন্দেহ পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কোমরে ও পায়ে দড়ি বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ঘের তল্লাশীর সময় বাঁধা দেওয়ায় ভোলানাথের মৃত্যু রহস্য নিয়ে এলাকাবাসী সন্দেহের তীর ছুড়ছেন ভোলানাথের একমাত্র ছেলে পরিমলের দিকে। কারন হিসেবে জানাযায়, সম্প্রতি পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে পরিবার বর্গের সাথে ভোলানাথের সম্পর্কর ভাল যাচ্ছিল না।
নেহালপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামান জানান, ভোলানাথের মৃত্যু রহস্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্ধ্যার দিকে পুলিশ নিহতের ছেলে পরিমল ও ভাইপো দেবু বিশ্বাসকে থানায় নিয়ে গেছে।
ওসি (তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান জানান, পরিমল ও দেবুকে জিজ্ঞাসাবাদে বোঝা যাবে ভোলা নাথ নিহতের ঘটনায় তারা জড়িত আছে কিনা। এ ব্যাপারে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি।