1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
লালপুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র জলাবদ্ধতায় অচল, চিকিৎসা সেবায় হতাশ রোগীরা  - dailynewsbangla
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে ধর্ষণ মামলায় ইমাম গ্রেপ্তার লালপুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র জলাবদ্ধতায় অচল, চিকিৎসা সেবায় হতাশ রোগীরা  ঘোড়াঘাটে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ চেকপোস্ট অভিযান নির্বাচন নিয়ে বাঁকা পথে গেলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবদল: শরীফ উদ্দিন জুয়েল দৌলতপুরে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ চরমে, জামায়াতের উপহার সামগ্রী বিতরণ জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান–মেম্বার দ্বন্দ্বে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ ভেড়ামারায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ দৌলতপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ লালপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মহাদেবপুরে ব্রাক “সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা “কর্মসূচি অনুষ্ঠিত 

লালপুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র জলাবদ্ধতায় অচল, চিকিৎসা সেবায় হতাশ রোগীরা 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

লালপুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র জলাবদ্ধতায় অচল, চিকিৎসা সেবায় হতাশ রোগীরা

এ জেড সুজন, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

অবিরাম বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন জলাবদ্ধতায় নাকাল। হাসপাতালের আঙিনা থেকে শুরু করে প্রবেশপথ পর্যন্ত হাঁটুসমান পানি জমে থাকায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

মানুষের চিকিৎসা সেবার জায়গা আজ যেন অবহেলার প্রতীক। মূল ফটকে জামাকাপড় শুকানো হয়, আঙিনায় কাদা-পানি জমে থাকে, কোথাও আবার গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়। এমনকি হাসপাতালের সামনেই স্থানীয় যুবক জাল পেতে মাছ ধরতে দেখা গেছে।

প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ এ হাসপাতালের ওপর ভরসা করলেও বাস্তবে এখানে নেই চিকিৎসক, নেই ওষুধ, নেই জনবল।

মোহরকয়া গ্রামের আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, “হাসপাতালে আসলে পানিতে ডুবতে হয়। ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই। চিকিৎসা না পেয়ে শুধু হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়।”

স্থানীয় লুতফর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “হাসপাতালটা এখন মানুষের নয়, বরং গরু-ছাগলের খোঁয়াড়। দরজা বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে।”

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রুবেল আলী জানান, “জলাবদ্ধতা আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে চিকিৎসা দেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। মশা-মাছির উৎপাত রোগীদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।”

অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাবিয়া বেগম বলেন, “সরকারি চাকরি নেই, তবু প্রতিদিন কাজ করি। কিন্তু রাস্তা ডুবে গেলে কাজ করা যায় না।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট চলছে। স্যাকমো ও অফিস সহায়কের পদ শূন্য, ফার্মাসিস্টও প্রেষণে নাটোর সদর হাসপাতালে আছেন। সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানও দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আশ্বাসে কতটা ভরসা রাখতে পারবেন সাধারণ মানুষ?

বিলমাড়িয়া গ্রামের প্রবীণ দুলাল মোল্লা আক্ষেপ করে বলেন, “এই হাসপাতাল চালু থাকলে গ্রামের মানুষের কত উপকার হতো। এখন শুধু ভবন আছে, চিকিৎসা নেই।”

গ্রামীণ মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা আজ অবহেলায় থমকে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন, অবকাঠামো সংস্কার ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ ছাড়া বিলমাড়িয়ার মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ