সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত রুহুল আমিন ছেলে নূর হোসেন অনুদানের জন্য চিকিৎসা সনদ জালিয়াতি করার ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) মো. নুর হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ০৪/০৪/২২ইং বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেন উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিডনী, লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনুদান দেয় সরকার। এই অনুদান পাওয়ার জন্য নুর হোসেন তার স্ত্রী হাছিনা বেগম ও বড়ভাই মো. মঞ্জুর আবেদন ফরম নেন। ওই ফরমে সই নেওয়ার জন্য তিনি (নুর হোসেন) সোমবার ০৪/০৪/২২ইং দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবিরের সঙ্গে দেখা করেন।
এসময় ডাক্তারি কাগজপত্র সন্দেহ হলে সিভিল সার্জন নোয়াখালী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। সেখান থেকে নিশ্চিত করা হয়, ওই ক্রমিকের ডাক্তারি কাগজপত্রগুলো শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির।
পরে প্রতারণার বিষয়টি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীকে জানানো হয়।
এতে জালিয়াতি প্রমাণ পাওয়ায় নুর হোসেনকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে যায়। এসময় অপরাধ স্বীকার করায় নুর হোসেনকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশ হেফাজতে নুর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বাবা গতবছর ১২/০৩/২১ইং সালে ক্যান্সার আক্রান্ত মারা গেছেন তার বৃদ্ধ মা অসুস্থ ও তার স্ত্রী অসুস্থ। ভাইও ডাব পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরে রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চালাতে অনুদান পেতে মেডিকেল রিপোর্ট নকল করা হয়। এতে তাঁর ভুল হয়েছে।
এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবির বলেন, শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্টের নাম পাল্টিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টে যাচাই-বাচাই করে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়েছে।