বরেন্দ্র অঞ্চলে অধিক লাভের আশায় ঝুঁকেছে কচু চাষীরা
মোহাম্মদ আককাস আলী :
বরেন্দ্র অঞ্চলে অধিক লাভের আশায় ঝুঁকেছে কচু চাষীরা। গরীবের সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত মুখিকচু চাষে কোনো ঝুঁকি না থাকায় বাণিজ্যিক ভাবে কচু চাষ অধিক লাভজনক। তাই অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে কৃষকেরা ঝুঁকিবিহীন কচু চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন। এ’অঞ্চলে সাদা ও লাল রঙের কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর চাষ করছেন কৃষকেরা। প্রায় সব জাতের কচুই পানিমগ্ন এলাকায় ও লতিরাজ কচু কিছুটা উচু জমিতে ভালো হয়। ধান চাষের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কচু চাষে খুব অল্প পরিচর্যা করতে হয়। তাই এর চাষে ঝুঁকিও অনেক কম। এছাড়া ঝড়ে হেলে পড়া কিংবা শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কাও নেই।
বর্তমানে স্থানীয় বাজারে কচুকন্দ ও কচুর লতি ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে কচুর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। গরু, ছাগল কচু খায় না এবং তা দেখাশোনার জন্য বাড়তি কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। কৃষক জমিতে মুখি কচু রোপণ করে ৪৫ দিনের মধ্যে বিক্রি করতে পারেন। প্রতি বিঘা জমি হতে ৮০ থেকে ৯০ মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন হয়।