রাজশাহী ব্যুরোঃ বিএনপি কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এসময় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে বিক্ষোভে যোগ দেয়। রকি’র এই কর্মী বিস্ফোরণে বিক্ষোভ সমাবেশটি প্রানবন্ত ও পরিপুর্ণতা পায়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয় এবং সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
সমাবেশে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একাত্তর সালের পরাজয়ের পর থেকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা কখনো পশ্চিমাদের আশ্রয়ে-প্রশয়ে কখনো এদেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে নানা রকম অপকর্ম ও হত্যাযজ্ঞ করেছে। আজকে বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগীদের,নিয়ে মির্জা ফখরুল ভুল বকা শুরু করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে বলে আসছে। তারা কখনো ঈদের পর, কখনো রোজা আগে, কখনো পূজার পরে, বলে মিথ্যাচারিতা করে আসছে । আমরা শুনতে শুনতে ট্রার্য়াড হয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রীকে নিয়ে ছাত্রদল কটুক্তি করেছে এবং তারা বলেছে, ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’ তাদেরকে বলবো পঁচাত্তর একবারই হয়েছে। এই বাংলার মাঠিতে পঁচাত্তর আর কোন দিন হবে না। পঁচাত্তরের যারা খুনী ছিল তাদের অনেককেই এই দুনিয়া থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। পঁত্তাচরের ঘটনার নেপথ্যের নায়ক জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোসতাক। তাদের একজনকে তারই লোকজন গুলি করে হত্যা করেছে। আর খন্দকার মোসতাক এর জানাযা করা ও দাফন করা ঢাকায় সম্ভব হয়নি। কুমিল্লার দাউকান্দিতে তার মৃতদেহ নিয়ে গেছে, মানুষ ঘৃনায় সেখানেও তার জানাযা করতে দেয়নি। লুকিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন তাকে দাফন করেছে। আজকে নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন, অনেকের সহ্য হচ্ছে না। গায়ে জ্বালা ধরেছে। বিএনপি ও তার সঙ্গে যারা আছে, তারা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন, জোট করেছেন। জোট করতেই পারেন আপত্তি নাই। তবে জোট করে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন, সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না। আপনাদের এতো চক্রান্তের পরেও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন এবং আগামী ২৫ জুন হবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন। সেতু দিয়ে তিনিই প্রথম পার হবেন।
আপনারা যার আশায় বসে আছেন, লন্ডন থেকে যুবরাজ আসবে, বাংলার মানুষ রাজপথ কাঁপিয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে নিয়ে আসবে, এই দুঃস্বপ্ন আপনাদের দেখা উচিত নয়। কারণ এই দুঃস্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না।ড়
যারা তারেক জিয়া ও বিএনপির রাজনীতি করছেন তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ছাত্রদলকে সাবধান করুন। আমাদের নেত্রী এখনো কিছু বলেন নাই। আমাদের নেতাকর্মীরা র্ধৈয্য ধরে আছে। ঢাকা থেকে একটি যদি আওয়াজ আসে, একটি যদি সিগনাল আসে, তাহলে আপনাদের বাড়ি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসব। পুলিশ লাগবে না, র্যাব লাগবে না, বিজিবি লাগবে না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্ব্চ্ছোসেবক লীগ এখনো রাজপথে আছে, তার একটি ছোট প্রমাণ আমরা আজকে দিলাম। পরিশেষে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এমময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, আজিজুল আলম বেন্টু, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল সহ সকল নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ উপস্থিত ছিলেন।
