1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্নীতি রুখবে কে?  - dailynewsbangla
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫ দৌলতপুরে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্নীতি রুখবে কে? 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২
রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী ব্যুরোঃ দীর্ঘদিন থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা চলছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা। এ যেন দেখার কেউ নাই। যা এখন চক্ষু চড়কগাছ ঐ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মীসহ অনেকের। অবশেষে দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ্য হয়ে গত ১৩ জুন ২০২২ উপজেলার ৪৭ জন (সাক্ষরিত) স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধ্য হয়েছে উর্ধ্বতন মহলের ৭ টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের বরাতে জানাযায়, পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ আব্দুল মতিন, প্রধান সহকারি (বড়বাবু) আব্দুল মান্নান এবং হিসাবরক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের এমন দুর্নীতির কারনে অসহায় হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যকর্মী সহ উপজেলার সাধারণ মানুষ। তাদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, করোনা কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনার টাকা আজও দেয়া হয়নি। এমনকি করোনা ভ্যাক্সিনেশনের জন্য যে, দৈনিক সন্মানি দেওয়ার কথা, সেটিও দেওয়া হয়নি। # কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদনের টাকা তুলতে গিয়েও ব্যাপক ঘুরতে হয়। পরবর্তিতে হিসাব রক্ষক ও বড়বাবু’র পার্সেন্ট মিটিয়ে সেই টাকা নিতে হয়। # জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) এর লোন করতেও তাদের (আমিনুল ও মান্নান ) দিতে হয় শতকরা কমিশন। # বেতন বিলের কোন সমস্যা হলে ঘুষের বিনিময়ে তা সমাধান করতে হয়। # জরুরী প্রয়োজনে কারো ছুটির দরকার হলে ছুটি পাওয়া দুর্লভ হয়ে যায়। তখন বাধ্য হয়ে বিনিময়ের মাধ্যমে সেই ছুটি নিতে হয়। অথচ প্রধান সহকারি আঃ মান্নানের ছুটির প্রয়োজন হয়না, কারন তিনি বুধবার অফিস করে চলে যান এবং   আসেন রবিবার। অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন অনুপস্থিত। # এছাড়াও এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের মন মত প্রতিনিধিকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয় বেশিরভাগ সময়। যার খেসারত হিসেবে জনগণকেই দিতে হয়। এমন অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরেছেন ঐ লিখিত বক্তব্যে। তাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যায় মিডিয়া কর্মীরা। গত ২২ জুন সরেজমিনে গিয়ে আরও অনেক দুর্নীতির তথ্য পাই সাংবাদিকরা। যা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকের সামনেই কর্তন করা হয়েছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা সেই করোনা প্রণোদনা নামক ভ্যাক্সিনেশনের টাকা। প্রতিজনকে দেওয়া হচ্ছে ৭,৬০০ টাকা।  অথচ খাতায় লিখা রয়েছে ৮,০০০ টাকা। টাকা কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে বড়বাবু মান্নান বলেন, এটা ৫% ভ্যাট কাটা হচ্ছে। ভ্যাট কাটার কোন লিখিত অনুমতি বা নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঃ মতিনের কাছে ছুটে যান এবং সাংবাদিকদের ডেকে পাঠানো হয়। এরপর আঃ মতিন সাংবাদিকের সাথে নানান তর্কে জড়িয়ে যান। সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেন, আপনার বাংলাদেশের নাগরিক কি? আপনি কোন কলেজ থেকে পাশ করে এসেছেন ইত্যাদি। আমাদের এই টাকা নিতে উপর মহলকেও কমিশন  দিতে হয়। এছাড়াও উপর মহল থেকে ইন্সপেকশন বা পরিদর্শনে আসলে তাদের খেদমত করতে হয়। তাই আপনাদেরকে বুঝতে হবে পরিশেষে তিনি বলেন, আপনার কোন তথ্য দরকার হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। আমি উপর দপ্তরে পাঠাবো। তার এমন আচরণ দেখেই বোঝাযায়, এ সকল দুর্নীতির মাষ্টার মাইন্ড অন্য কেউ নয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঃ মতিন নিজেই। এছাড়াও কোয়াটার ও ডরমেটরি নিয়েও দুর্নীতির শেষ নাই। সেখান কার নার্স ইনচার্জ রোজিনা খাতুন পুরো পরিবার নিয়ে থাকেন ডরমেটরিতে। যা তিনি পারেন না। অথচ এই ডরমেটরি মুলত ব্যাচেলর বা সিঙ্গেল নার্সদের জন্য। ঐ কমপ্লেক্সে রোগীদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ রয়েছে,  এখানেও যেন দুর্নীতির শেষ নেই। মানহীন ও অরুচিকর খাবারে অতিষ্ঠ্য রোগী ও সঙ্গে থাকা স্বজনরা। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় এমন নজির মিলেছে।

এবিষয়ে বিভগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুল আহসান তালুকদার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে করোনা কালীন কোন প্রণাদনা দেওয়া হয়নি। তবে করোনা ভ্যাক্সিনেশনের জন্যে যারা কাজ করেছে তাদেরকে তো সম্মানি দেওয়া হয়েছে। আর আমার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। উপজেলা পর্যায়ের কোন অভিযোগ থাকলে সেটি সিভিল সার্জন দেখবেন। পরে সহকারি কর্মকর্তাকে (এও) ডেকে জিজ্ঞেস করেন এবং লিখিত অভিযোগের কপি পান। লিখিত সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। এসময় তিনি আপসোস করে বলেন, এই ধরনের অভিযোগের অভিযোগকারিকে তদন্তের সময় পাওয়া যায়না। তারপরও আমি সর্বোচ্চ তদন্ত করে দেখবো। যদি প্রমান মিলে তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ