কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: ” নাগরপুর আমার,আমি নাগরপুরের”- এই বাণীটিকে বুকে ধারণ করে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ারে আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গনে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির বিপ্লবী সংগ্রামী সদস্য, দক্ষিণ টাঙ্গাইলের লৌহ মানব, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিপাহসালার অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক, উদীয়মান মেধাবী ব্যক্তিত্ব, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ঐতিহ্যবাহী তেবাড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট হুমায়ূন হোসেন খান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকার সময় বহু আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করেছিলেন।
তারেক শামস খান হিমু ১৯৮৭ সালে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী সরকার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে কাঁপিয়েছেন এই রাজনৈতিক নেতা। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি মস্কো ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৬ সালে লন্ডন থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশে এসে ঢাকায় রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে জনতার মঞ্চ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সে সময় তিনি বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২০০১ সালে নাগরপুরের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু নিয়ে তৎকালীন বিএনপি’র সরকার নাগরপুরের মানুষের সাথে যে টালবাহানার নাটক শুরু করেছিল তার প্রতিবাদে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলন হিসেবে মুক্তাঙ্গনে ও ধলেশ্বরী নদীর বুকে নৌকার মিছিল সহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং নাগরপুর উপজেলা অফিস ঘেরাও সহ সকল কর্মসূচিতে একক নেতৃত্বে সংঘটিত করেছিলেন। তিনি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটি নামক একটি সংগ্রামী সংগঠন গড়ে তোলেন, এতে তিনি আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রোশানলে পড়েন এর ফলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। এতে করে তিনি বেশ কিছুদিন তার জন্মভূমি নাগরপুরের মাটিতে পা রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।
এরপর ২০০২ সালে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে বায়ান্ন সদস্য বিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করলে সেখানে তিনি সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ধারাবাহিকভাবে তিনি ২০০৭,২০১৪ ও ২০১৮ সালে সহ-সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সহ-সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়া তিনি ঢাকার বাংলাবাজারে পুস্তক বাধাই শ্রমিক মালিকদের মধ্যে এক সেতু বন্ধন তৈরি করেন। সেখানে ঢাকাস্থ নাগরপুর উপজেলার কর্মরত বিশ হাজার পুস্তক বাধাই শ্রমিকদেরকে নিয়ে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে এককভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি পুস্তক বাধাই শ্রমিক ও মালিক সমিতির আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাটকল বিশেষ করে ইউএমসি জুট মিল, আহমেদ বাওয়ানি জুট মিল, জনতা জুট মিল এ নাগরপুরের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার পাট কল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কঠিন আন্দোলন এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে একক নেতৃত্ব প্রদান করেন।
এছাড়াও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সংস্কারের দাবিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় পথসভা থেকে শুরু করে ৩০-৪০ টি উঠান বৈঠক সম্পন্ন করেন যা বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে নেতৃবৃন্দদের মধ্যে সারা ফেলে। এভাবেই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়েছেন। এছাড়াও তথাকথিত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি বেশ কয়েকটি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা ও বিভিন্ন ভাবে হামলার শিকার হয়েছেন।একপর্যায়ে তার সেগুনবাগিচার বাণিজ্যিক কার্যালয় তছনছ করে দেওয়া হয় এবং ক্যান্টনমেন্টের সেনা ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি তাকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ঠিক এই সময়ে তিনি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে “বিজয়ের মালা” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন যা বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
বর্তমানে তিনি নাগরপুর দেলদুয়ারের প্রত্যেকটি অঞ্চলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের তথ্যচিত্র সকল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন এবং প্রতিটি জাতীয় ও দলীয় অনুষ্ঠানে একক নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ারের আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ডেইলি নিউজ বাংলা এর সাথে তারেক শামস খান হিমু এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। আলোচনায় তিনি বলেন- “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকা মার্কা তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি ছাত্র জীবন থেকেই নাগরপুরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে আছি। আমার রক্তের প্রতিটি স্পন্দন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্পন্দন। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নৌকা মার্কা থেকে আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে ইনশাল্লাহ আমি নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারব, যা ইতিমধ্যেই আপনারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। আর আমাকে যদি মনোনয়ন নাও দেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা নাগরপুর ও দেলদুয়ারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব, ইনশাআল্লাহ।
সবশেষে আমি আসছে আগামীকাল ১০ই জুলাই ২০২২পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টাঙ্গাইল- ৬ নাগরপুর দেলদুয়ারের সকল জনগণ তথা সমগ্র দেশবাসীকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে পবিত্র ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ত্যাগের মহিমায় ঈদ সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তির ঘনঘটা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”