রাজশাহী ব্যুরোঃ গত ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রা’বি) এডমিশন টেষ্ট পরিক্ষা। পরিক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট সংকটে পড়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবুও শত কষ্ট উপেক্ষা করে পরিক্ষা দিতে হাজির হয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ২৭ জুলাই রা’বির ভর্তি-ইচ্ছুক বানিজ্যিক বিভাগের পরিক্ষা শেষ হয় দুপুর ২ টায়। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয় রাজশাহী রেল ষ্টেশনে এবং বিকাল ৪ টায় রাজশাহী টু ঢাকা গামী পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াই। এরপর টিকিট না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এতে দ্বায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে এবং তাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আরও সব সহপাঠীদের ফোন করে ডাকে এবং শত শত শিক্ষার্থীরা মুহুর্তেই উপস্থিত হয়ে রেললাইনের উপর শুয়ে পড়ে। পরিবেশ উত্তপ্ত হলে বাধ্য হয়ে আরএমপি পুলশের সহযোগিতা নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের দাবী গুলো শোনেন। তাদের দাবী আজকে তাদের যাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা দৈনিক গনমুক্তির প্রতিবেদককে বলেন, আমরা অনেক আগে থেকে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছি। কিন্তু মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে টিকিট নাই, কোথায় গেল টিকিট? আমরা জানতে চাই। আজকে তাদের যাওয়ার জন্য আরও চারটি বগি সংযুক্ত করতে হবে এমন দাবী উপস্থাপন করে আন্দোলনরতরা। তানাহলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করবো না। অবশেষে তাদের আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে ছুটে আসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার। এরপর শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিয়ে আরও একটি বগি সংযুক্ত করে দেন। অবশেষে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকাল ৬.২২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বিঃদ্রঃ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছোড়া পাথরে আহত হয় যমুনা টিভির রাজশাহীর ক্যামেরাপার্সন জাবেদ অপু।