কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: বাঙালি জাতির এক মহীয়সী নারীর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর শক্তি ও অনুপ্রেরণার নাম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বাংলার মানুষের কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুর শক্তি ও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন তখন তার অবর্তমানে সংগঠন পরিচালনায় প্রধান সমন্বয়কারীর গুরুদায়িত্ব পালন করতেন বঙ্গমাতা। জেলগেটে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর দিতেন। আবার জেলগেট থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত দিক-নির্দেশনাও নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।
তিনি সবসময় বঙ্গবন্ধুকে উজ্জীবিত করেছেন, ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর ত্যাগ, নিষ্ঠা বঙ্গবন্ধুকে নির্ভিকচিত্তে দেশের কাজ করতে সাহায্য করেছে। আবার সংসারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নির্ভীকচিত্তে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে সাহায্য করেছেন। বলা যায় বঙ্গবন্ধু, বাঙালি, বাংলাদেশ ও বঙ্গমাতা একই সূত্রে গাঁথা।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ই আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।
আজ তার ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের গর্ব, নাগরপুর দেলদুয়ার এর গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটির অন্যতম সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সাবেক আহ্বায়ক, এক সময়ে রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতা, ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
আজ দুপুরে তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে নাগরপুর উপজেলার নাগরপুর সদরের বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।
এই অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। সে সময় তিনি গণমাধ্যমকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন একজন মহীয়সী নারী। বাঙালি নারী জাতির মধ্যে তিনি শান্তির অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
আজ এই মহীয়সী নারীর ৯২ তম জন্ম বার্ষিকী। এই জন্মবার্ষিকীতে আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান রব্বুল আলামীন তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউসের অতিথি হিসেবে মনোনীত করেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করার কারণে সরাসরি উপস্থিত হতে পারেনি কিন্তু আমি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য বিতরণ করতে পেরেছি এজন্য আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
এছাড়াও জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি হিসেবে মাগরিবের আজানের পর বিভিন্ন মসজিদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যে সকল সদস্য ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে তাদের আত্মার শান্তি কামনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সকল কার্যক্রমে যে সকল নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন আমি তাদের সকলকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির পক্ষ হতে এবং টাঙ্গাইল জেলা ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।