ভেড়ামারা প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চন্দনা নদীর মাছ জোরপূবর্ব ধরে নিয়ে যাওয়া, দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও লীজ গ্রহনকৃত চন্দনা নদীর জলমহল অবৈধ ভাবে দখল নেওয়ার হুমকি দানকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল সকাল ১১ টার সময় উপজেলা চাঁদ গ্রাম ইউনিয়নের চন্দনা জোড়া ব্রিজের পাশে জনসেবা মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্য ও মাছ চাষি রোকনুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেন।
রোকনুজ্জামান বলেন এই সমিতির সদস্য আমাকে চন্দনা নদীর জলমহল সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান পায়। সমিতির সভাপতি শারীরিক অসুস্থ হওয়ার কারণে ১৪২৯ সনের ১লা বৈশাখ হতে বাংলা ১৪৩১ সনের ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ৩ (তিন) বছর মেয়াদে মাছ চাষ করার জন্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নী করে দেয়। সেই থেকে আমি লীজ গ্রহণকৃত চন্দনা নদীর জলমহলে মাছ চাষ করে আসছি। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার মাছ চন্দনা নদীতে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন হলো চাঁদগ্রাম এলাকায় সন্ত্রাসী রেজাউল তার লোকজন নিয়ে অবৈধ ভাবে চন্দনা নদীর দখল করতে আসে এবং জল মহলের একাংশে মাছ ধরার জাল সহ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। পরে মাছ ধরার নৌকা ভাঙচুর করে পানিতে ডুবিয়ে রাখে এবং চন্দনা নদীতে না আসার জন্য মাছ চাষীদের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তাই না গত ২৯/০৭/২২ তারিখে লীজকৃত চন্দনা নদী থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করার জন্য পাখি ভ্যান যোগে নিয়ে আসতে ছিল। মাছ সহ পাখি ভ্যানটি হিড়িমদিয়া জাপানের পুলের কাছে আসলে সন্ত্রাসী রেজাউল সহ তার লোকজন কর্মচারীদের লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করে গুরুত্বর আহত করে প্রায় ৫ (পাঁচ) মন মাছ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী রেজাউল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া, কমান্ডার র্যাব-১২ কুষ্টিয়া, উপজেলা নির্বাহী ভেড়ামারা, অফিসার ইনচার্জ ভেড়ামারার নিকট অভিযোগ দিয়েছি। এবং সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে লিখিত ভাবে জানাচ্ছি যে, লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ যাতে লুটপাট না হয় সেজন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান আমরা তদন্ত শুরু করেছি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।