1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় চলছে সুনসান নীরবতা - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মোহনপুর বিদিরপুরে উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হলো ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে – শাহাজান আলী জাল সনদে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় চলছে সুনসান নীরবতা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের উপনেতা, আ’লীগের প্রেসডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা,সালথা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে বইছে শোক ও সুনসান নীরবতা। প্রিয় নেত্রী ও অভিভাবককে হারিয়ে সবাই যেন আজ নিস্তব্ধ।
এ প্রয়াত সংসদ উপনেতার নিজ বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার হামিদ মঞ্জিলও এখন লোকশূন্য। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পদচারণা ছিল; সেখানে শুধুই নিস্তব্ধতা। নেতাকর্মীদের ভিড় আর চোখে পড়ছেনা বাড়িটিতে। পুরো বাড়িটিতে এখন শুধুই সুনসান নীরবতা বইছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দার মিজান বাবু নামের এক সংবাদকর্মী সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে কবিতার ভাষায় তাঁর ফেসবুকে লিখেন, শোকে নিস্তব্ধ সালথার “হামিদ মঞ্জিল”।
আর কোনো দিন তুমি আসবে না, এই সবুজ শ্যামল গ্রামের মেঁঠো পথে।
তোমার আগমনে উৎসবে আনন্দে আর মেতে উঠবে না, এই  স্মৃতিময় শান্তির নীড় খানা।
শেষ বার তুমি এসেছিলে সেই কবে! – এই শান্তির নীড়ে।
আবার আসবে বলে, কথা দিয়েছিলে।
তোমার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি।
ইচ্ছে ছিল, আমার জমিনে ঘুমাবে তুমি অনন্তকাল।
কিন্তু, শেষ দেখাটাও হলোনা তোমার আমার।
বড্ড মনে পড়ে তোমায়,
দূরের দেশে থেকে তুমিওকি মনে করো আমায়!!
কেউ না জানুক, তুমিতো জানো,,
আমার কেউ নেই, তুমি ছাড়া!
তোমার যত্নে গড়া এই আমি,
এখন শুধুই অবহেলা!!
অন্যদিকে, সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে নগরকান্দা ও সালথার আ’লীগের নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শোক ও নিস্তব্ধতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
এদিকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। তাঁর মৃত্যুতে ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, সালথা উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছাঃ তাছ‌লিমা আকতার, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমাম রাজী টুলু, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ সাদিক, নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিল হোসেন, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন মিয়া, সালথা উপ‌জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল হাসান খান সোহাগসহ দলীয় নেতাকর্মী ও বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এর আগে গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সাজেদা। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ফরিদপুর-২; (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ