মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডবে। কারিগরদের দম ফেলার সময়টুকু নেই। রংতুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। আতমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন উৎসব শনিবার।
উপজেলায় ১৫টি মন্দিরে চলছে বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার দশমিনা দূর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীর লোকজন দীর্ঘ বছর ধরে এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন ।
তিনি আরও বলেন, মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। আর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। উৎসবের প্রতিমার তৈরির কাজ সহ সকর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রতিমা তৈরির কারিগর দেড় মাস পূর্ব থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৩টি মন্দিরের প্রতিমার সেট তৈরি করেছেন। প্রতি সেটে দুর্গার সঙ্গে থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও ল²ী প্রতিমা। বর্তমানে একসেট প্রতিমা তৈরি করতে বাঁশ, কাঠ, কাদা মাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেশি। তাই আমাদের লাভ কম হচ্ছে।
উপজেলা দুর্গাপূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাষিশ মজুমদার (রতন) বলেন, উপজেলায় এ বছর ১৫মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি মন্দিরে আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কাজকর্ম শুরু করেছেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে ও প্রস্থান হবে নৌকায় চড়ে।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট উত্তম কুমার কর্মকার জানান, আশা করি শতশত ভক্তের উপস্থিতিতে নলখোলা মন্দিরে প্রতিমা বিসর্জন উৎসব হবে। আর নিরাপত্তার ব্যাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবছরের ন্যায় থাকবেন। এই প্রথম বারের মতো স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রতিিিট পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় সংসদস্য বলেন উপজেলায় ১৫টি পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মবল্বীদের উৎসব হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে দশমিনা উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বংলাদেশ পুলিশ ,আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে তাকবে। বার্তি নিরাপত্তর জন্য সিসি ক্যমেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহদেী হাসান বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা মন্ডবে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়ন থাকবেন এবং প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিজেস্ব মনিটারিং এর মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হবে।