আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুর শনিবার ২২ অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, মানব পাচার সংক্রান্তে বাদী হয়ে দৌলতপুর উপজেলার সাদীপুর এলাকার সামছুদ্দিন পরামিনিকের ছেলে মোঃ আব্দুস সামাদ (৪৮), দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দেন ১৯/১০/ ২০২২ ইংরেজি তারিখে। এজাহার মূলে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭/৮/৯/১০ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। মামলার নম্বর ৩১। মানব পাচারের ঘটনা সংক্রান্তে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়ার প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান মোতাবেক কুষ্টিয়া জেলার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আনিসুল ইসলাম এর নের্তৃত্বে একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান নির্ণয়-পূর্বক দেশ ও প্রবাসের সংঘবদ্ধ মানব মানব পাচারের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত চক্রের রহস্য উদঘাটন ও ২জন আসামি আটক করেন। আটকৃত আসামিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের হাবিল সরদারের ছেলে রেজাউল করিম হিমেল ও মাদিয়া গ্রামের রফিকুলের ছেলে পারভেজ রানা।তাদের কে ঢাকায় থেকে আটক করে পুলিশ । ধৃত আসামি রেজাউল করিম হিমেল ইতিপূর্বে প্রায় ১০ বছর যাবত সিঙ্গাপুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। ২০১৯ সালে সে বাংলাদেশে ফেরত এসে মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িত হয়ে মানব পাচার কার্যক্রম শুরু করে। তার কোন রিক্রুটিং লাইসেন্স নাই। সে শুধুমাত্র ট্রাভেলিং লাইসেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া সহ বিভিন্ন দেশে অবৈধ প্রক্রিয়ায় মানব পাচার করে থাকে।