রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন চকপাড়া (মেহেরচন্ডি) এলাকায় মধ্যরাতে বোমা বিষ্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি ২৩) রাত্রি ১১.৫০ টার দিকে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ড পশ্চিম চকপাড়া (মেহেরচন্ডি) ছোট বটতলায় এঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের পরপর ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হলে কাউকেই দেখতে পাইনি পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুইটি অবিস্ফোরিত ককটেল, বিষ্ফোরিত বোমার সার্কিটসহ আলামত, কয়েকটি কাঁচের বোতল, তেলের জার পায় পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে কথা বললে তারা জানান, এখানে তিনটি বোমা বিষ্ফোরণের শব্দ শুনে এই এলাকা থেকে কেউ পুলিশকে ফোনে জানায়। এরপর থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। ঘটনাস্থলে বোমা বিস্ফোরণের আলামত বুঝতে পেরে আমরা বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেই। বোমা ডিসপোজ টিম এসে দুইটি ককটেল উদ্ধার করে এবং সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে। এছাড়াও ঘটনাস্থলের আশেপাশে পরিদর্শন বোমা বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়। এগুলো পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে, এরপর বলা যাবে এগুলো কি ধরনের বোমা ছিল। এমন ঘটনা কারা ঘটাতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এটা বলা যাবে। তবে আশেপাশে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। পরে এই ঘটনার সংবাদদাতা ঐ এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী আলিফ আনোয়ারুলের সাথে কথা বলেন তিনি জানান, পাশে আমার রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে (নাদের হাজীর মোড়ে)। রাত ১১.৫০ মিঃ দিকে কার্যালয়ে আমি আমার কর্মীদের সাথে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ আমার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে তিন থেকে চারটি মটর সাইকেল দ্রুত চলে গেল। কিন্তু আমরা তাদের চিন্তে পারিনি। একটু পরে বিকট শব্দ হলে, চমকে উঠে কর্মীদের জিজ্ঞেস করলাম কি হলো? তারাও আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে। এরপর আবার আরেকটি শব্দ। আমরা দ্রুত কার্যালয় থেকে বের হয়ে শব্দের দিকে যেতে থাকলাম। এরপর আরেকটি শব্দ। তখন নিশ্চিত হলাম এটি বোমার শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে চন্দ্রিমা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার দেওয়া তথ্যের সত্যতা পায়। এমন ঘটনা কারা করতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মনে হয় আগামী ২৯ জানুয়ারি, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আগমনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষে জামায়াত বিএনপি এমন করছে। তারা এদেশের উন্নয়ন চাইনা, তারা এদেশের মানুষের শান্তি চাইনা। তারা মনে করছে, এমন ঘটনার সৃষ্টি করলে হয়তো প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী আসবেন না। আমি জামায়াত বিএনপিকে বলতে চাই, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠন রাজপথে প্রস্তুত আছে। তাদের যেকোন উদ্ভট পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আওয়ামী লীগ নয়, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ যথেষ্ট। এসময় আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বললে বোঝা যায় তারা এঘটনায় অনেকটায় ভীত রয়েছে।